চলতি দায়িত্বে থাকা প্রধান শিক্ষকদের জন্য সুখবর

দৈনিক বিদ্যালয় ডেস্কঃ সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে চলতি দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছিল প্রায় আঠারো হাজার শিক্ষককে। অবশেষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলতি দায়িত্বে (চ.দা) থাকা প্রধান শিক্ষকদের স্থায়ীকরণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখন গ্রেডেশন লিস্ট বা সিনিয়রিটির তালিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। চলতি জুলাই ২০২০ মাস থেকে পর্যায়ক্রমে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষকদের অত্র পদে পদোন্নতি দেয়া হবে। আগামী আগষ্ট মাসের মধ্যে দেশের ১৮ হাজার শিক্ষককে পদোন্নতি দেওয়া হবে বলে জানাগেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গত রোববার ১২ জুলাই ২০২০ তারিখে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক জনাব, মো. ফসিউল্লাহ। তিনি বলেন, সারাদেশে প্রায় ১৮ হাজার বিদ্যালয়ে সিনিয়রিটির ভিত্তিকে সহকারী শিক্ষকদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্য পদে প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে সহকারী শিক্ষকদের এবং এর মধ্যে তাদের সিনিয়রিটির ভিত্তিতে পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে দায়িত্বে থাকা চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষকদের গ্রেডেশন তালিকা,গোপনীয় প্রতিবেদন বা ACR সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠাতে বলা হয়েছে। কিছু সংখ্যক শিক্ষকদের কাগজপত্র ইতিমধ্যে এসেছে। যেগুলো একত্রিত করে চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দিয়ে জেলাভিত্তিক প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। বাকিদের কাগজপত্র যথা গোপনীয় প্রতিবেদন, গ্রেডেশন লিস্ট প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে এসে পৌছালে আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে জেলাভিত্তিক সকলকে পদোন্নতির আওতায় আনা হবে।

এ ছাড়াও জানাগেছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ আকরাম হোসেন সিনিয়র সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ার সাথে সাথেই শিক্ষকদের স্থায়ী পদোন্নতির জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে অধিদফতরকে নির্দেশ দেন।
এছাড়া আরও জানা যায়, বাংলাদেশের ৬৫ হাজার ৬২০ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিগত ০৯ বছর ধরে পদোন্নতি বন্ধ থাকায় শিক্ষকদের দাবির মুখে গত ২০১৭ সনে সিনিয়র সহকারী শিক্ষকদের চলতি দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
এ বিষয়ে জনাব মো. ফসিউল্লাহ, মহা পরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অঅধিদপ্তর আরো বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক হলে প্রাক প্রাথমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে প্রায় ৪০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। সেই সঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শূন্য পদে প্রধান শিক্ষকদের নিয়োগ কার্যক্রম ও শুরু হবে।’
এখানে উল্লেখ্যঃ প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকবৃন্দ বহুদিন ধরে ১০ ও ১১ তম গ্রেডের জন্য আন্দোলন করে আসছে। এবং চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকগন চাকুরী স্থায়ী করনের দাবি করে আসছেন।

Leave a Comment