ঢাবি’র সাবেক উপাচার্য ড. এমাজউদ্দীন আর নেই

ড. এমাজউদ্দীন আহমদ আর নেই। তিনি একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, লেখক এবং শিক্ষাবিদ ছিলেন। তিনি ১৯৯২-১৯৯৬ সন পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ তম উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ সনে একুশে পদকে ভূষিত হন।

বিশিষ্ট এই শিক্ষকের মেয়ে দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক। তিনি জানিয়েছেন, আজ শুক্রবার ভোররাতে ধানমণ্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে হার্ট অ্যাটাক হয় তার বাবার। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যাওয়ার আগে তার মধ্যে অসুস্থতার কোন লক্ষণ প্রকাশ পায়নি।
আরো বলেন, “শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে গতকাল রাত আনুমানিক ২টার দিকে তাকে ঢাকা ল্যাব এইড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ভোর ৫ টার দিকে হার্ট অ্যাটাক করেন তিনি।” অবশেষে আজ শুক্রবার ১৭ জুলাই ২০২০ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

তার জন্ম ১৫ ডিসেম্বর ১৯৩৩ সনে ভারতের পশ্চিম বঙ্গের মালদা জেলায়। তিনি রাজশাহী কলেজ ও কুইনের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করেন। পরে তিনি পরিবারের সাথে বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলায় চলে আসেন। তিনি রাজশাহীতে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। তিনি রাজশাহী কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তারপরে তিনি সরকারী কলেজের প্রভাষক হিসাবে সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন। এরপর তিনি একটি কলেজের অধ্যক্ষ হন। ১৯৭০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে তাকে কানাডার অন্টারিওয়ের কুইন্স ইউনিভার্সিটি কর্তৃক বৃত্তি দেওয়া হয়েছিল। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে গবেষণার জন্য তিনি পিএইচডি পেয়েছিলেন।

তার স্ত্রীর নাম সেলিমার আহমদ। মৃত্যুকালে তিনি চারজন সন্তান রেখে যান। যারা হলেন, ১. ডা. দিলরুবা শোকেত আরা ইয়াসমীন যিনি একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ। ২. অধ্যাপক ড. দিল রোশন জিনাত আরা নাজনীন, অধ্যাপক ও রাষ্ট্র’বিজ্ঞানী। ৩. জিয়া হাসান, যুগ্ম সচিব ও প্রকৌশলী। ৪. ডা. তানভির ইকবাল, প্যাল’মনোলজিস্ট। তার আরো একজন সন্তান ছিল যার নাম আফরোজ রোভনাক আরা তানজিম বাবার আগেই প্র‍য়াত হন।

READ MORE  শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উদ্যোগ

তাদের এগারো জন নাতিপুতি ও রয়েছে। যারা ও স্বপ্রতিভায় উজ্জ্বল। এদের মধ্যে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে প্রভাষক ও রয়েছেন। যারা হলেন ডা. তরনিমা ওয়ার্দা আন্দালিব এবং বুশরা মেহজাবীন। একজন নাতি ও নাতনি হলেন, ডেন্টিস্ট ডা. নুসরাত অনিক আফসানা ও কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট হলেন ফারহানা তাবাসসুম। কর্পোরেট জগতে তার আহমদ নাভেদ হাসান, তাসনিয়া তরানুম, আহমদ নজিব রহমান, নুজহাত আতিকা নাফীস ও শফকত অরিন নামে অন্যান্য নাতি-নাতনি রয়েছেন। ও লেভেলে শীর্ষ পদে থাকার জন্য সর্বোচ্চ ডিনের পুরষ্কার প্রাপ্ত নাতি হলেন আহমেদ রাফি ইকবাল।

তিনি দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে রাজনীতি, প্রশাসনিক ব্যবস্থা, পররাষ্ট্রনীতি, সামরিক বাহিনী নিয়ে গবেষণা করেছেন। তার লিখিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় অর্ধশতাধিক।

মৃত্যুকালে এই বিশিষ্ট শিক্ষাবিদের বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।

Leave a Comment