নয়নাভিরাম উচ্চ বিদ্যালয়টি এখন কীর্তিনাশা পদ্মায় বিলীন

দৈনিক বিদ্যালয় ডেস্কঃ ছবিতে নয়নাভিরাম যে বিদ্যালয়টি দেখতে পাচ্ছেন বিদ্যালয়টির নাম হল নূরুদ্দিন মাদবরের কান্দি S.E.S.D.P মডেল উচ্চ বিদ্যালয়। দৃশ্যমান এই বিদ্যালয়টি এখন পদ্মায় বিলীন প্রায়। বিদ্যালয়টির করুণ এই পরিনতিতে স্থানীয় বিদ্যানুরাগী মানুষেরা আজ চোখের পানিতে ভিজছে।

অত্র উচ্চ বিদ্যালয়টি মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের নুরুদ্দীন মাতবরেরকান্দী গ্রামে অবস্থিত। চরের বাতিঘর খ্যাত বিদ্যালয়টি কীর্তিনাশা পদ্মার গর্ভে বিলীন আজ। বুধবার তথা ২২ জুলাই ২০২০ তারিখ মধ্যরাতে বিদ্যালয়ের মাঝখান বরাবর ফাটল ধরে প্রায় পানিতে ডুবে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়টি নদীতে আরও হেলে পড়েছে।

ভাঙ্গনের আগে বিদ্যালয়টি

স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, পদ্মায় পানি ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চরাঞ্চলে ভাঙনের তীব্রতা আরো বেড়েছে। ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় নিরাপদ স্থানের দিকে ছুটছে অসংখ্য মানুষ। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। আশ্রয় স্থল তলিয়ে যাওয়ায় গবাদি পশু নিয়ে দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে চরাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ।

স্থানীয় সূত্র থেকে আরো জানা যায়, অত্র বিদ্যালয়টি ২০০৯ সালে স্থাপিত হয়। চরাঞ্চল বন্দরখোলা ইউনিয়নের এই বিদ্যালয়টিতে শিবচর উপজেলার বন্দোরখোলা ইউনিয়নের মমিন উদ্দিন হাওলাদারকান্দি, জব্বার আলী মুন্সীকান্দি, বজলু মোড়লের কান্দি, মিয়া আজম বেপারীর কান্দি,রহমত হাজীর কা মসত খাঁর কান্দি সহ প্রায় ২৪ টির মত গ্রামের ছাত্র ছাত্রীরা এই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতো। করোনার কারনে বিদ্যালয়টি বিগত ১৭ই মার্চ তারিখ থেকে বন্ধ ছিল।

ভাঙ্গনের পরে বিদ্যালয়টি

স্থানীয়রা আরো জানায়, উক্ত উচ্চ বিদ্যালয়টি পদ্মার নিকটবর্তী হওয়ায় প্রতি বছরই বন্যার পানিতে ডুবে যেতো। গত বছর ২০১৯ সালে পদ্মানদীর ভাঙন বিদ্যালয়টির পিছন দিক থেকে বিদ্যালয়টির প্রায় কাছে চলে আসায় গত বছরই পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করে। এবছর বর্ষা মৌসুমেও ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ফেলে ছিল পাউবো তেমন সুবিধা করতে পারি নি বিদ্যালয়টি রক্ষা করার জন্য। সবশেষ আজ তিন তলা বিদ্যালয়টি পদ্মার প্রচন্ড স্রোতে নিঃশেষ প্রায়।  

READ MORE  একাদশে ভর্তির সকল খুটিনাটি

এ বিষয়ে স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধি জানান, উক্ত S.E.S.D.P মডেল উচ্চ বিদ্যালয়টি বন্দরখোলা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড অবস্থিত। গত বুধবার রাত প্রায় ১১টার দিকে খুব জোরে শব্দ হতে থাকে বিদ্যালয় ভবন থেকে। এটি দেখতে বহু মানুষ ছুটে আসলেও কিছুই করার ছিল না তাদের। পরবর্তীতে দেখা যায় বিদ্যালয়ের মাঝখান থেকে ফাটল ধরেই ভেঙ্গে পড়ে বিদ্যালয়টি।

Leave a Comment