মদ না পেয়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে কাজ চালিয়ে নিয়েছে, এর ফলে যা ঘটল

বিনোদন

দৈনিক বিদ্যালয় ডেস্কঃ
৩১ জুলাই ২০২০ শুক্রবার এর ঘটনা।

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে এখনো চলছে লকডাউন। মদের দোকান গুলোতে তাই এখনো তালা ঝুলছে। কিন্তু লকডাউন শেষ হওয়া পর্যন্ত আর তর সইল না কিছু মাদক সেবিদের। মদের নেশায় মাতাল হয়ে তাই অ্যালকোহল মিশ্রিত হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়েই তাই কাজ চালিয়ে নিয়েছে নয় জন। এ থেকে অন্ধ্র প্রদেশ এর বেঘোর নামক স্থানে চিৎপটাং হয়েছে নয়জন।

ভারতে এখন সব জায়গায় প্রায় লক ডাউন আনলক হতে শুরু করেছে, কিন্তু করোনার প্রকোপ ঠেকাতে অন্ধ্রপ্রদেশে গত ১৮ জুলাই ২০২০ থেকে আবার ১৪ দিনের লকডাউন শুরু হয়। এর মধ্যেই সেখানে ‘কুরিছেদু’ নামক এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে।

অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লক ডাউনের ফলে কুরিছেদু ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় সমস্ত দোকানপাট বন্ধ ছিল। সাথেসাথে বন্ধ ছিল মদের দোকানও। তাই স্যানিটাইজার দিয়ে কাজ চালাতে যান ওই নয় জন। তাতেই মারা গেছে নয় জন।

নিহত হয়েছে যারা তাদের মধ্যে রয়েছেন, ২৫ বছর বয়স্ক এ শ্রীনু, ৩৭ বছরের বয়স্ক বি তিরুপাতাইয়া, ৬০ বছর এর জি রালমিরেড্ডি, ২৯ বছর বয়স্ক কে রামনাইয়া, ৬৫ বছরের বৃদ্ধ রামনাইয়া, ৬৫ বছর এর রাজিরেড্ডি, ৪০ বছরের মধ্যবয়সী বাবু, ৪৫ বছর বয়স্ক চার্লস এবং ৪৭ বছরের অগাস্টাইন নামক মদ্যপরা।

নিহতদের মধ্যে এক জন মদের সঙ্গে হ্যান্ড স্যানিটাইজার মিশিয়ে খেয়েছিল। সে বাড়ি ফিরতেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। এবং তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে পথিমধ্যে মৃত্যু হয়। শুক্রবার ৩১ জুলাই সকালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আরও ছয় জনকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয় বলে খবর নিশ্চিত করেছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম গুলো।  বিষয়টি এখন সে দেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

এ বিষয়ে আরো জানাগেছে, নিহতদের মধ্যে তিন জন পেশায় ভিক্ষুক ছিল। তাঁদের মধ্যে দুই জন আবার স্থানীয় কুরিদেছু এক মন্দির চত্বরে ভিক্ষা করতেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে একসঙ্গে বসে হ্যান্ড স্যানিটাইজার পান করার পর সাথে সাথেই মৃত্যু হয় এক জনের এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরে এক হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে আরও এক জনের।

READ MORE  সানি লিওন, মিয়া খলিফা, সিনসের পরে এবার শিল্পী নেহা কক্কর

এ বিষয়ে কুরিছেদুর পুলিশ সুপার সিদ্ধার্থ কৌশল অত্র ঘটনা তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার পান করে আর কোনও হাসপাতালে কোন রোগী ভর্তি রয়েছে কি না, তার খোঁজ খবর ও নিচ্ছে স্থানীয় পুলিশ। যে দোকান থেকে স্যানিটাইজার কিনে পান করেছিলেন নিহত মদ্যপরা, সেই দোকানটি ও সিল করে দেওয়া হয়েছে। এবং সেই হ্যাণ্ড স্যানিটাইজার গুলোতে অন্য কিছু ছিল কিনা তস পরীক্ষা করে দেখার নির্দেশ ও দিয়েছে পুলিশ।

সেই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের সঙ্গে অন্য কোনও রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে মদ্যপ নিহতরা পান করেছিল কিনা সেটি নিয়েও তদন্ত করছে আন্ধ্রা পুলিশ।

(সুত্রঃ জিটিভি)
ডিবি আর আর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *