বন্ধ থাকা কেজি স্কুলের শিক্ষার্থীদের সরকারি স্কুলে ভর্তির নির্দেশ

প্রাথমিক

করোনা মহামারীর কারণে আর্থিক সংকটে পড়ে কোনো কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে, সেই সমস্ত কিন্ডার গার্টেনের ছাত্র-ছাত্রীদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম আল হোসেন রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, অনেকগুলো কিন্ডারগার্টেন আছে, সে সমস্ত কেজি স্কুল সমুহ আর্থিক কারণে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, আমরা ইতিমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছি সকল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে যদি কোন কেজি স্কুল বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে সেই স্কুলের শিক্ষার্থীরা যে ক্যাচমেন্ট এলাকার মধ্যে, সেই এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করতে। যাতে কোনো ছাত্র-ছাত্রী বাদ না যায়।

সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন আরও বলেন, প্রত্যেক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দায়িত্ব দিয়েছি, করোনা মহামারীর পর যখন বিদ্যালয় খুলবে তার আগেই নিজেদের স্কুলের জন্য নিজস্ব পরিকল্পনা তৈরি করতে। সেই পরিকল্পনার মধ্যে সবকিছু থাকবে, শিশুদের নিরাপত্তা, ঝরে পড়া রোধ। সঠিকভাবে সবকিছু সামাল দিতে পারলে আশা করি আমাদের যে আশঙ্কা আছে; ঝরে পড়া সেটা হয়তো অনেকটাই রোধ করা সম্ভব হবে।

করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া ঠেকাতে বছরের যে কোনো সময় ছাড়পত্র ছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সমুহে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাতে এর আগে নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই পরিপত্রে যা বলা হয় তা নিম্নে চুম্বক অংশ তুলে ধরা হল।

“করােনা ভাইরাস এর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সারাদেশের বিদ্যালয় সমূহ বন্ধ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা বর্তমানে গ্রামে অবস্থান করছে শহর ছেড়ে এসে। বিভিন্ন উৎস হতে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বেশ কিছু কেজি স্কুল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয় হীন হয়ে যেতে পারে। উপরোক্ত পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষার্থীগণ যাতে বিদ্যালয় বিহীন হয়ে ঝরে না পড়ে সেজন্য ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদেরকে বছরের যে কোন সময় তাদের বাসস্থান সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহে নিম্ন বর্ণিত তথ্যাদি যাচাই করে ভর্তির কার্যক্রম গ্রহণের জন্য অনুরােধ করা হলো। যে সকল শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে সে যে বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছিল তার আইডি কার্ড, বেতন বই, স্লিপ, ক্লাস, ডায়েরি, বই-পুস্তক, খাতাপত্র ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তা যাচাই করবেন। এক্ষেত্রে কোন ছাড়পত্র এর দরকার হবে না।”

READ MORE  ২৫৬৩০ প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক ও ৬৯৪৭ শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক পদে আবেদন করবেন যেভাবে

একজন সাংবাদিক জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে কি না? উওরে গণশিক্ষা সচিব জানান, এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট সকল বিদ্যালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *