প্রাথমিকে ২৫ হাজার ৩০০ ও ১০ হাজারের বিশাল নিয়োগ

প্রাথমিক

নিউজ ডেস্কঃ এমাসের মাঝামাঝি সময়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সমুহের জন্য শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আসছে। আগামী ২০ অক্টোবর ২০২০ মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এ নিয়োগ বিষয়ক বিশেষ খবর হল, সহকারী শিক্ষকের পদটি ১৩ তম গ্রেডে উন্নিত হওয়ায় এবারের নিয়োগে জাতীয় কোটা বাতিল হলেও থাকছে শতভাগ অভ্যন্তরীণ কোটা।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে ২৫ হাজার ৩০০ জন প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক এবং প্রায় ১০ হাজার শূন্যপদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়াটি দ্রুত সময়ের মধ্যেশেষ করতে ওয়েবসাইট আধুনিকায়ন করা হচ্ছে বলে জানাগেছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাক-প্রাথমিক ও সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রাথমিক অধিদপ্তর থেকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি তৈরি করে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এবং এ বছর সহকারী শিক্ষক পদটি সরাসরি ১৩ তম গ্রেডে উন্নীত হওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ কোটা রাখা হবে কি না, তার ব্যাখ্যা চেয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায়। সরকারের দেওয়া সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সব কোটা বাতিল করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ কোটা বহাল রেখে এ নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করতে গতকাল সোমবার সম্মতি দেয়া হয়েছে। একই দিনে প্রাগশি মন্ত্রণালয় নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে নির্দেশনা ও দিয়েছে।

এ বিষয়ে জানা গেছে, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগের সকল কোটা বাতিল করা হয়েছে। বাতিলকৃত কোটাগুলো হলোঃ মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, আনসার-ভিডিপি, প্রতিবন্ধী ও জেলা কোটা। কোটা বাতিলের কারণ হিসাবে দেখানো হয়েছে ১৩তম গ্রেড দেওয়াকে। তবে পূর্ব নির্ধারিত ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা বহাল থাকছে। এর মধ্যে মধ্যে আবার প্রতিটিতে ২০ শতাংশ করে বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগের কোটা অনুসরণ করা হবে।

READ MORE  পদোন্নতি জটিলতায় প্রাথমিকের বহিরাগত শিক্ষকের খোলা চিঠি

মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এম মনসুর আলম এ বিষয়ে জানান, ‘নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রাক-প্রাথমিক স্তরে ২৫ হাজার ৩০০ শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। এটি প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৪ বা পিইডিপি ফোর এর আওতাভুক্ত। তবে এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে এ স্তরের শিক্ষকদের রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ ছাড়া শূন্য পদে আরো প্রায় ১০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে মন্ত্রণালয়ের।

তিনি আরও বলেন, কোটা অনুসরণের বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠাই। সেখান থেকে সরকারি চাকরি নিয়োগবিধি ১৮ এর ২ ধারা অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ কোটা বহাল রেখে জাতীয় কোটা বাতিল করতে বলা হয়। সেটি অনুসরণ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করতে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

প্রাশি অধিদপ্তরআ সূত্র জানায়, প্রাথমিকে চাকুরী প্রার্থীদের এবারের নিয়োগে, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন করতে হবে এবং আবেদনকারী নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে স্নাতক পাস/স্মমান কবা সমমান ডিগ্রি করা হয়েছে। এছাড়া গত বছর অনলাইন আবেদন ফি ১৬৬ টাকা হলেও এবার আবেদন ফি কিছুটা বাড়ানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। বুয়েট এবং টেলিটক এর সহায়তায় আবেদন গ্রহণ, কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র পাঠানো, খাতা মূল্যায়ন ও ফল প্রকাশ করা হবে। অতিরিক্ত সচিব আরও জানান, নতুন হওয়া সিদ্ধান্ত সমুহের সাথে তিনি উল্লেখ করেন “আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।”

আরও পড়ুনঃ চার পাঁচজন শিক্ষক একই পদে যেতে চাইলে সফটওয়্যার যাকে মনে করবে অনুমোদন দেবে

ডিবি আর আর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *