এতে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক চাপ কমবে এবং শিক্ষকরা রিফ্রেশমেন্ট এর সুযোগ পাবে

প্রাথমিক

প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করা হচ্ছে। ২ টি মন্ত্রণালয় যথাঃ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের এ প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহে শুধুমাত্র ১ দিন; শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি রয়েছে। এরপর থেকে শুক্রবার ও শনিবার দুইদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহে সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম আল হোসেন।

জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম আল হোসেন বলেন, গত মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এক বৈঠক হয়েছে। অত্র বৈঠকে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির বিষয়ে এনসিটিবির তথা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রস্তাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আমরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মত হয়েছি। বিষয়টি নিয়ে এনসিটিবি কাজ করছে।

এ নিয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, প্রাক প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত একটি কারিকুলামের খসড়া গত বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়েছে। যে কারিকুলামের কাঠামোতে আমরা বলেছি সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিন থাকলে সমস্যা হবে না। নতুন এই কারিকুলাম চালু হবে ২০২২ সাল থেকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি ছুটি সপ্তাহে দুই দিন শুক্র ও শনিবার। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি শুধু শুক্রবার। এই ছুটি বাড়াতে প্রস্তাব করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। প্রস্তাবটিতে বলা হয়, ছুটি বাড়ালেও শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে কোন ধরনের ক্ষতি হবে না। সাপ্তাহিক এই ছুটির সিদ্ধান্ত ২০২২ সাল থেকে বাস্তবায়নের প্রস্তাব করেছে এন.সি.টি.বি। তবে দুই মন্ত্রণালয় চাইলে যে কোনও সময় এই ছুটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা যেতে পারে বলে জানা গেছে।

জানাগেছে বর্তমানে সাপ্তাহিক ছুটি ও অন্যান্য সকল ছুটি ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বছরে ক্লাস চলে ২১৫ দিন। শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি ঘোষিত হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস চলবে ১৮৫ দিন। কারণ, অনেক শনিবারে সরকারি ছুটি থাকে প্রতিবছর। এন.সি.টি.বি সূত্রে জানা গেছে, দুই দিন ছুটি থাকলেও শিক্ষার্থীদের যে হোমওয়ার্ক দেওয়া হয়, তাতে লার্নিং আওয়ার কমবে না। আন্তর্জাতিক স্টান্ডার্ড বজায় রেখেই এই প্রস্তাব করা হয়েছে। এর বাহিরে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল এবং বেশ কিছু বেসরকারি স্কুলে সপ্তাহে দুইদিন ছুটিই চালু রেখেছে। এবং এই দু’দিন ছুটি চালু হলে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক চাপ কমবে ও শিক্ষকরা রিফ্রেশমেন্ট এর সুযোগ পাবে।

READ MORE  প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার আগে শিক্ষকদের যে ১৭টি কাজ অবশ্যই করতে হবে

সমন্বিত নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ পদোন্নতি ও জ্যেষ্ঠতা নির্ধারন সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক ভাবনাপাবে।

চার পাঁচজন শিক্ষক একই পদে যেতে চাইলে সফটওয়্যার যাকে মনে করবে অনুমোদন দেবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *