তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে পরীক্ষা নিয়ে প্রমোশন দিতে হবে : প্রতিমন্ত্রী
দৈনিক বিদ্যালয় ডেস্ক: মাননীয় মন্ত্রী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তো ১৪ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ। আর মাত্র ২ দিন। আপনাদের সিদ্ধান্তটা দয়া করে এক্টু জানাবেন! সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই বন্ধটি বাড়ানো হয়েছে। এরমধ্যে যদি আমরা করোনা থেকে মুক্ত হতে পারি তবে আমরা পরবর্তীতে চিন্তা ভাবনা করব।
আরো পড়ুন: প্রধান শিক্ষকদের টাইমস্কেল জটিলতা, সমাধান ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা
তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বর আসলে তো আর স্কুল খোলার তেমন সময় থাকেনা। আমদের ৩৯ ও ৩০ দিনের একটা সংক্ষিপ্ত পরিকল্পনা দেওয়া ছিল। এখন তো সেটি আর কাজে আসছে না। এখন ১৯ তারিখে স্কুল খুলতে পারলে আমরা ১১ দিনের একটা সট প্লান করব।
এরপর প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই ১১ দিন ও বিদ্যালয় খোলার পরিবেশ না পেলে শিক্ষকদের বলা আছে যে যেভাবে পারে মূল্যায়ন করবে। তিনি অটোপাশের ভিত্তিতে প্রাথমিকের মূল্যায়ন বিষয়টি নাকচ করে দেন। তিনি যেকোনোভাবে প্রাথমিকে সামান্য হলেও মূল্যায়নের ভিত্তিতে প্রমোশনের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে হোক আর শিক্ষার্থীদের বাড়িতে যেয়ে হোক, যেভাবে হোক দু’একটি মৌখিক প্রশ্নের ভিত্তিতে হলেও মুল্যায়ন করতে হবে।
তিনি বলেন ১১ দিন যদি স্কুল খোলা সম্ভব হয় ১১ দিনের সট সিলেবাসের ভিত্তিতে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করতে হবে। প্রথম, দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের উপর এতটা জোর দেওয়া হচ্ছে না বলে তিনি জানান।
সর্বপরি তিনি ১টা মৌখিক অভিক্ষার মাধ্যমে হলেও শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করতে হবে বলে তিনি জানান। এবং এটি নির্ভর করবে স্ব-স্ব বিদ্যালয়ের উপর। যে বিদ্যালয় যেভাবে মূল্যায়ন করতে চায়। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের পর্যায়ক্রমে বিদ্যালয়ে ডেকে আনা যায়।
আরও পড়ুন:জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ ও শিক্ষকদের পদোন্নতি
মন্ত্রী বলেন, সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেভাবে মূল্যায়ন করতে পারে শিক্ষকরা সেভাবেই মূল্যায়ন করুক!
জাকির হোসেন বলেন, আমরা জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের হাতে বই দিয়ে দেব। সবশেষে মন্ত্রীর বক্তব্য ছিল এমন, সবাই মিলে সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে, আমাদের একার পক্ষে সবকিছু সম্ভব নয়।
-ডিবি আর আর।
আরও পড়ুন: আইবাস++ এর ফাইলটি ছাড়পত্রের অপেক্ষায় হিসাব মহা নিয়ন্ত্রকের টেবিলে