নিয়োগের চার বছর পর ২ শিক্ষিকার নিয়োগ বাতিল

প্রাথমিক

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ভাবছে না সরকার

দৈনিক বিদ্যালয় ডেস্ক : মুক্তিযোদ্ধা কোটায় জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরি নেয়ায় জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার দুই প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষিকার নিয়োগ বাতিল করেছে শিক্ষা বিভাগ।

এছাড়া তাদের উত্তোলিত বেতন-ভাতা ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতেও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

কিন্তু এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম বিপ্লবের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

এবিষয়ে জামালপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার রবিয়ারচর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শহিদুর রহমানের ছেলে মো. আশরাফুল আলম বিপ্লব ২০১৬ সনে তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার ও খালাতো বোন শাপলা আক্তারকে আপন বোন বানিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে চাকরিতে প্রবেশ করান। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা পোষ্য হিসেবে নিজে আশরাফুল ও একই পদে চাকরি নেন।

প্রাথমিকে প্রমোশনে মূল বেতন দুই হাজার দশ টাকা কম

তারা সকলেই কাগজপত্রে তাদের বাবা হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুর রহমানের নাম ব্যবহার করেন। চাকরিচ্যুতির আগে নাসরিন আক্তার বকশীগঞ্জের টুপকারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাপলা আক্তার খেয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আশরাফুল ইসলাম বিপ্লব মাদারেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে কর্মরত আছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে তদন্ত শুরু করে শিক্ষা বিভাগ।

জামালপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক এ বিষয়ে বলেন, ‘জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শিক্ষিকা নাসরিন আক্তার ও শাপলা আক্তারের নিয়োগ বাতিল করেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষক নির্বাচন কমিটি।

তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে পরীক্ষা নিয়ে প্রমোশন দিতে হবে : প্রতিমন্ত্রী

এছাড়াও তাদের যোগদানের সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত গৃহীত বেতন-ভাতা আদায়ের জন্য আইনি ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা ও দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

-ডিবি আর আর।

READ MORE  এখন থেকে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি টাকা যেভাবে আসবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *