প্রসঙ্গ : ০৯.০৩.১৪ থেকে শিক্ষকদের টাইমস্কেল জটিলতা নিরসন

দৈনিক বিদ্যালয় : প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের দাবি আদায়ে ঐক্য গঠনের প্রয়োজনীয়তা ও ০৯.০৩.২০১৪ পরবর্তি টাইমস্কেল জটিলতা নিরসন প্রসঙ্গ কথা।

প্রিয় সহকর্মীবৃন্দ, আপনারা সবাই অবগত আছেন যে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে একক কোন ব্যক্তি, কোন গ্রুপ এমন কি একক কোন সমিতির পক্ষেও শিক্ষকদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও দাবি আদায় করা কোন অবস্থাতেই সম্ভব নয়।

প্রাথমিক শিক্ষকদের টাইমস্কেল প্রাপ্তিতে বাঁধা সমুহ

তাই দাবি আদায়ে আমাদের সবাইকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ ছাড়া দাবি আদায়ের বিকল্প কোন পথ নেই। তাই আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে, আমি কয়েক দিন আগে প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে ঐক্য গঠনের জন্য ফেসবুকে একটা পোস্ট করেছিলাম।

আমি ভেবে চিন্তে প্রধান শিক্ষকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার গুরুত্ব উপলব্ধি করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আহব্বান জানিয়েছি। আমার এ আহবানে সাধারণ প্রধান শিক্ষকগণ সতঃস্ফুর্ত ভাবে ঐক্যগঠনের পক্ষে অভাবনীয় ভাবে সাড়া প্রদান করেছেন এরং অচিরেই ঢাকাতে বসার জন্য আমাদেরকে উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। যা আপনারা ফেসবুকে দেখতে পেয়েছেন।

প্রাথমিকে প্রমোশনে মূল বেতন দুই হাজার দশ টাকা কম

আমি বঞ্চিত প্রধান শিক্ষকদের মনের কষ্ট বুঝতে পারি। তাই তাদের টাইমস্কেল সহ অনান্য সমস্যার সমাধানে এ মুহূর্তে ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। তাই তাদের মনের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য ঐক্যের আহবান জানিয়েছি। এই ঐক্য গঠনের জন্য আমি প্রধান শিক্ষক সমিতির অপর অংশের নেতাদের সাথে এবং বেশ কিছু বঞ্চিত প্রধান শিক্ষকদের সাথে ব্যক্তিগত ভাবে ফোনের মাধ্যমে আলাপ আলোচনা করেছি। তারা সবাই ঐক্যের পক্ষেই মতামত ব্যাক্ত করেছেন।

আমাদের প্রাধান শিক্ষক সমিতির অপর গ্রুপের নেতাদের সাথে আমার ফোনের মাধ্যমে আলাপ হয়েছে। তারা আমাকে জানিয়েছেন যে, তারা বর্তমানে সমিতি নিয়ে কিছু সমস্যার মধ্যে আছেন। সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই হয়তো তাদের এই সমস্যা কেটে যাবে বলে তারা আমাকে জানিয়েছেন। তাদের এই সমস্যা কেটে গেলে তারা আমাদের সাথে ঐক্য নিয়ে কথা বলতে চায়।

READ MORE  সোমবার থেকে দোকানপাট শপিং মল খুলে দিতে পারে

তাই আমরা গত ১৮.১১.২০২০ ইং তারিখের প্রধান শিক্ষক সমিতির জুম মিটিং এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি যে, সবার সমস্যার কথা বিবেচনা করে আমাদের উচিত তাদের জন্য কিছু সময় দেওয়া।

নিয়োগের চার বছর পর ২ শিক্ষিকার নিয়োগ বাতিল

এ করনে আমরা নভেম্ভর মাস পর্যন্ত তাদের জন্য অপেক্ষা করতে চাই। এরপর তারা আমাদের আহ্বানে সাড়া দিলে, আমরা তাদেরকে স্বাগত জানাবো। আর তারা যদি সময়মত আমাদের ডাকে সাড়া না দেয় তাহলে আমারা বঞ্চিত প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে পরবর্তিতে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।

একারনে আমরা নভেম্বর মাসের ২০ তারিখ হতে ২৪ তারিখের মধ্যে ঢাকাতে বসার জন্য যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তা আপাতত ১০-১২ দিন পিছিয়ে দেওয়া হলো। এর জন্য আপনারা মনে কিছু নিবেন না এবং হতাশায় ভুগবেন না। আমরা আপনাদের সাথেই আছি। আমরা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে সবাই একত্র বসতে পারবো বলে আশা প্রকাশ করছি।

এ জন্য টাইমস্কেল বঞ্চিত প্রধান শিক্ষকদেরকে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকাতে আসার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

আমরা দিন তারিখ ও স্থান নির্বাচন করে তা আপনারদেকে ফেসবুকে ও জুম মিটিং এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। আপনারা বাংলাদেশের প্রত্যেক উপজেলা থেকে বঞ্চিত প্রধান শিক্ষকগন ঢাকাতে আসার জন্য চেষ্টা করবেন।

আমরা দুই প্রধান শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও বঞ্চিত প্রধান শিক্ষক ভাই বোনেরা আমাদের বৃহত্তর স্বার্থের কথা বিবেচনা করে সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে আমারা সকল প্রধান শিক্ষক যেন একত্রে বসতে পারি। এ বিষয়ে আমি আপনাদের সবার সাহায্য সহযোগিতা কামনা করছি। সবাইকে ধন্যবাদ।

-মোঃ বদরুল আলম, সভাপতি, বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি।

সহকারী শিক্ষকদের ১৩ তম গ্রেডের আইবাস++ এ ফিক্সেশনের অগ্রগতি কতদূর

-ডিবি আর আর।

Leave a Comment