দৈনিক বিদ্যালয় : আগামী ২০২১ সনের জানুয়ারি মাস থেকে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (EFT) এর মাধ্যমে জিটুপি বা গভর্নমেন্ট টু পারসন পদ্ধতিতে দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে চিঠি দিয়েছে অর্থ বিভাগ।
২৬ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার হিসাব মহা-নিয়ন্ত্রক বরাবর এ বিষয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়। এটি সরকারের কেন্দ্রীয় ব্যবস্থার অংশ হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষকদের সুবিধা দিতে এই ব্যবস্থা।
অর্থ বিভাগের উপসচিব মো.তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা আরও সংহত করতে গেজেটেড কর্মকর্তাদের মতো নন-গেজেটেড কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা অনলাইনে দাখিল ও ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যে সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সচিবালয় ও অধিদফতর-পরিদফতরের মাধ্যমে প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা EFTএর মাধ্যমে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন।
এখন দেখে নেওয়া যাক ’ইএফটি ফরম’ পূরণে যে সকল তথ্য লাগবেঃ
১। জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার; যে নাম্বার দিয়ে পে-ফিক্সেশন করা হয়েছিল ও জন্ম তারিখ।
২। স্বামী ও স্ত্রীর জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার ও জন্মতারিখ।
৩। সন্তানের জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার যদি থাকে, না থাকলে জন্মসনদ নাম্বার ও জন্ম তারিখ সহ।
৪। পিতার নাম ও মাতার নাম ইংরেজিতে সার্টিফিকেট অনুযায়ী।
৫। চাকুরী শুরুতে বেতন স্কেল, বর্তমান বেতন স্কেল ও টাইম স্কেল বা উচ্চতর গ্রেড সংক্রান্ত তথ্য।
৬। চাকুরী শুরুতে যোগদানকৃত বিদ্যালয়ের নাম এবং বর্তমান চাকরিরত বিদ্যালয়ের নাম।
৭। শিক্ষা সহায়ক ভাতার তথ্য।
৮। ব্যাংক ঋণ সংক্রান্ত তথ্য।
৯। যে ব্যাংক থেকে বর্তমান বেতন হয় সে ব্যাংকের নাম, হিসাব নং ও রাউটিং নাম্বার।
১০। জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড (জিপিএফ) হিসাব নং, বহি নং, ভলিয়াম নং ও পাতা নং।
১১। জিপিএফ মাসিক কর্তন কত ও বর্তমান মোট জমাকৃত অর্থের পরিমাণ।
১২। জিপিএফ থেকে যদি লোন নেওয়া থাকে সে সংক্রান্ত তথ্য।
১৩। অর্জিত ছুটি সংক্রান্ত সকল তথ্য।
উল্লেখ্য, শিক্ষকদের গতানুগতিক বা ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বেতন ও ভাতা দেওয়ার কারণে নানা ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সেজন্য শিক্ষকদের ভোগান্তি লাঘব করতে সরাসরি শিক্ষকদের নিজ ব্যাংক হিসাবে বেতন-ভাতা পাঠাতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এটি চালু হলে মাসের প্রথমেই সব ধরনের ভোগান্তি ব্যাতিরেকে শিক্ষকদের একাউন্টে বেতন চলে আসবে এবং প্রতিমাসের নির্ধারিত সময়ে শিক্ষকরা বেতন উত্তোলন করতে পারবেন।
-ডিবি- আর আর।