দৈনিক বিদ্যালয় ডেস্ক :: সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকবৃন্দ সরকারের অর্থ বিভাগের সিদ্ধান্ত বুনিয়াদে সকলেই ১৩ তম গ্রেড পাচ্ছেন। শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি হল শিক্ষাকতার পেশায় আসতে যেখানে স্নাতক চাওয়া হয়নি। তাহলে এখন কেন একজনকে ১৩তম গ্রেড দেওয়া হবে, আরেকজনকে দেওয়া হবে না? আর তাই যদি হয়, তাহলে যোগ্যতা ভিত্তিক স্কেল দেওয়া হোক!
এছাড়া শিক্ষকরা বলছেন, চাকুরীতে আসার পরে ১২/১৮ মাসের ডিপ্লোমা কোর্স করতে হয়। যা প্রাথমিকের শিক্ষাগত পেশার জন্য যথেষ্ট।
যাই হোক গত ১৯ জানুয়ারি তারিখে ১৩ তম গ্রেড সকল সহকারী শিক্ষকবৃন্দ পাবে এই মর্মে অর্থ মন্ত্রণালয় এক পরিপত্র জারি করে। যাতে বলা হয়ে; ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ জারির পূর্বে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকগণের মধ্যে যারা এখনো কর্মরত আছেন তাদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল পূর্বক বেতন গ্রেড নির্ধারণে নিম্নোক্ত শর্তে নির্দেশক্রমে অর্থ বিভাগের সম্মতি জ্ঞাপন করা হল।’
যার ফলে ২০১৯ সালের আগে নিয়োগপ্রাপ্ত সকল সরকারি প্রাথমিকের শিক্ষক ১৩তম গ্রেডের আওতায় বেতন ভুক্ত হবেন।
এখন প্রশ্ন হল কবে পাবেন? এই প্রশ্নের জবাব খুজতে যেয়ে এর উত্তর পাওয়া গেল। আর তা হলঃ
অর্থ বিভাগ কর্তৃক ১৯ জানুয়ারি তারিখে নতুন জারীকৃত আদেশ প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে জিও জারি হয়ে তারপর তা প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তাকে পাঠানো হবে। এরপর এটি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় কর্তৃক পৃষ্ঠাঙ্কন হবে। তারপর তা সিজিএ (হিসাব মহানিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার অফিস) এ পাঠানো হবে।
এরপর সিজিএ থেকে অনুমোদন হয়ে আইবাস++ এ এন্ট্রির জন্য পত্রাদেশ পাঠানোর পর জাতীয় প্রকল্প পরিচালক (PD) কর্তৃক ফাইল অনুমোদন হয়ে আইবাস++ সিস্টেম আপডেট করার পর লাইভে দিলে১৩তম গ্রেডে স্ব-স্ব উপজেলায় ফিক্সেশন হবে। সর্বশেষ এই ফিক্সেশন হওয়ার পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ১৩তম গ্রেডের বেতন পাবেন। যা একটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
এটির কার্যক্রম দ্রুত করতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, হিসাব মহা নিয়ন্ত্রক অফিসের কর্মকতাদের একান্ত আন্তরিকতা ও আইবাস কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি ছাড়া সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের জন্য ১৩তম গ্রেড সরকারের ঘোষণার ১১ মাস পার হলেও এখনও বাস্তবায়ন হয়নি প্রাথমিক শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেড। এটা দ্রুত না হওয়ায় শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
দৈনিক বিদ্যালয়’ র শিক্ষা বিষয়ক নিউজ নিয়মিত পেতে ’দৈনিক বিদ্যালয়’ অথবা dainikbidyaloy.com লিখে গুগলে সার্চ করুন।
-ডিবি আর আর।