ঈদের পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিবর্তিত তারিখ ঘোষণা

শিক্ষা মন্ত্রণালয়

দৈনিক বিদ্যালয় ডেস্ক :: ২৫ মার্চ, বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে গণহত্যা দিবসের এক আলোচনা সভা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। কারণ হিসাবে উল্লেখ করেন, করোনা সংক্রমনের হার বেড়ে যাওয়ায় এবং শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুকির কথা বিবেচনায় করেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান শিক্ষা মন্ত্রী।

এর আগে ২৪ মার্চ তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর সচিব মাহবুব হোসেন ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে বলেছিলেন, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেছিলেন, যেহেতু পবিত্র শবে বরাতের সরকারি ছুটি ২৯ মার্চের পরিবর্তে ৩০ মার্চ নির্ধারণ করার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এদিন খুলছে না। বিষয়টি নিয়ে দুই একদিনের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এছাড়া ৩০ মার্চ ছুটি ঘোষণা করে মাউশিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে ও বলা হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে জানিয়েছিলেন, আগামী ৩০ মার্চ দেশের সকল ধরনের বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে।

সেদিন তিনি বলেন, দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ২৪ মে থেকে শুরু হবে এবং হল খুলবে ১৭ মে। এর আগে সব ধরনের পাঠদান ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। ১৭ মে এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের করোনা টিকা দেওয়া হবে। এছাড়া বিসিএস পরীক্ষার আবেদন ও পরীক্ষার তারিখ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নির্ধারণ করা হবে।

গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক ধাপে বাড়ানোর পর ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়। গত ২২ জানুয়ারি করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে গাইডলাইন প্রকাশ করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। 

এ গাইডলাইন অনুসরণ করে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়। স্কুল-কলেজগুলোতে ৩৯ পাতার গাইডলাইন পাঠিয়ে বলা হয়, ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্কুলগুলো প্রস্তুত করে রাখতে, যাতে যে কোনো মুহূর্তে সেগুলো খুলে দেয়া যেতে পারে।

READ MORE  ২৩ মে কী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে?

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে গোটা বিশ্বকে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের এই প্রতিকূল স্রোতের মুখোমুখি বাংলাদেশও। অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মতো বাংলাদেশের জন্য আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে শিক্ষা খাত। প্রায় ১২ মাস ধরে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। কিছু ক্ষেত্রে অনলাইনে কার্যক্রম চলমান।

চলমান মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ তারিখ থেকে দেশের প্রায় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আগামী ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু তা আর হচ্ছে না।

২৩ মে খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

এছাড়া আজ ২৫ মার্চ, বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাস সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির বৈঠক শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয় আগামী ২৩ মে থেকে দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

যে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে ও করোনা সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির পরামর্শক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগামী ঈদুল ফিতরের পর ২৩ মে ২০২১ তারিখ শ্রেণি পাঠদান শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এসময়ে অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান শিক্ষা মন্ত্রী।

এখানে আরও উল্লেখ্য যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২২ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভা বৈঠক থেকে নির্দেশনা দেন যে, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যায় কিনা, এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে বসে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে।

-ডিবি আর আর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *