Site icon Real Raw News

শিক্ষকরা যাদের সুযোগ আছে ট্রেনিং স্কেল না নিয়ে সরাসরি ১৩ তম গ্রেডে বেতন নিতে পারেন

দৈনিক বিদ্যালয় নিউজ ডেস্ক :: একথা সবাই জানেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ পিটিআই থেকে সিইনএড বা ডিপিএড ট্রেনিং গ্রহন করলে বেতন বৃদ্ধির পরিবর্তে আরো কিছু বেতন কমে যায়। এটা বিশ্বে নজিরহীন। এটা কিছু হিসাবের মারপ্যাচে এমন হয়েছে। এটি নিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা স্বরব ও কর্তৃপক্ষের দারস্ত হলেও এখনও মেলেনি প্রতিকার।

পূর্বকালীন সময়কার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকবৃন্দ বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়ে গেলেও কার্যত কিছুই হয়নি।

প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শেষে বেতন নিম্নমুখী যাওয়ায় মূলত তারা দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ডিপিএড ট্রেনিং এর প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে। যাতে শিক্ষকরা চাকুরীর প্রতি আন্তরিকতা হারানোর দিকে যাচ্ছে। এটা প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

এই বিষয়টি ও ১৩ তম গ্রেডে বেতন ফিক্সেশন সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ গত ২২ মার্চ সোমবার রাতে শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলমের সাক্ষাৎ করতে যেয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শেষে বেতন না কমিয়ে ভিন্ন পন্থায় যেভাবে ১৩তম গ্রেডে ফিক্সেশন করা যায় তার একটি নির্দেশনা প্রদান করেন। সেটি দৈনিক বিদ্যালয়, অনলাইন পোর্টালের পাঠক ও শিক্ষকদের জন্য নিম্নে তুলে ধরা হল।

শামছুদ্দিন মাসুদ লেখেনঃ

শিক্ষা অফিস থেকে ডিপিএড ট্রেনিংয়ে পাঠানোর সময় কি এমন কোন শর্ত দেওয়া হয়েছিল যে ট্রেনিং করলে ট্রেনিং স্কেল অবশ্যই নিতে হবে!

ট্রেনিং করানোর উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষকের ‘দক্ষতা ও কর্ম পরিধি বৃদ্ধি’ করা। কিন্তু NAPE ট্রেনিং ম্যানুয়ালের কোথাও এই কথাটা উল্লেখ নেই। যদি থাকতো তাহলে শিক্ষকদের ট্রেনিং স্কেল (DPED/CinEd) নিলে তা উচ্চধাপে নেওয়ার একটা সুযোগ তৈরি হত।

ডিজি (প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালক মহোদয়ের) নির্দেশে সিজিএ’র কর্মকর্তাগণের সাথে আলোচনার সময় এক কর্মকর্তা আমাকে (শামসুদ্দিন মাসুদকে) বলেছেন, যাদের সুযোগ আছে তারা ট্রেনিং স্কেল না নিয়ে সরাসরি ১৩ তম গ্রেড নিয়ে নিতে পারেন।

আশাকরি আমাদের কর্মকর্তাগণ এই বিষয়ে নমনীয় হবেন। যেখানে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক মহোদয় নমনীয়, সিজিএ (হিসাব মহা নিয়ন্ত্রক) এর কর্মকর্তাগণ নমনীয়; সেখানে আমাদের (প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট) কর্মকর্তাগণও নমনীয় হতে পারেন।

বিষয়টি আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি। জরিমানা যদি দিতেই হয় তা পরেও দেওয়া যাবে। যারা এখনো সার্টিফিকেট সার্ভিস বুকে অন্তর্ভুক্ত করেন নি, তারা নিজ নিজ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে বিষয়টি আলোচনা করে সরাসরি ১৩ তম গ্রেডে ফিক্সেশনের চেষ্টা করবেন। আমাদের শিক্ষক সংগঠন গুলোর উপজেলা শিক্ষক নেতৃবৃন্দকে এই বিষয়ে আরও বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে হবে।

-মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাসুদ, সভাপতি, বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি। রেজিষ্ট্রেশন নং- এস ১২০৬৮।

-ডিবি আর আর।

Exit mobile version