দেশে করোনা শনাক্তের রেকর্ড : মৃত্যু হার বৃদ্ধি

চিকিৎসা

দৈনিক বিদ্যালয় ডেস্ক :: রবিবার সকাল আটটা থেকে সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত দেশে মোট এই ২৪ ঘন্টায় করোনা ভাইরাসে একদিনেই ৫১৮১ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া করোনায় গত একদিনে মোট মৃত্যু হয়েছে ৪৫ জনের।

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ সোমবার এ কথা জানানো হয়েছে। গত বছরের ৮ ই মার্চ থেকে এপর্যন্ত এর আগে একদিনে এত বেশি রোগী শনাক্ত হয়নি। এখানে উল্লেখ্য, গত বছরের ২ জুলাই তারিখে দেশে সর্বোচ্চ করোনায় সংক্রমির সংখ্যা ছিল ৪০১৯ জন রোগী। সংক্রমণের দিক দিয়ে আজই বাংলাদেশে সর্বোচ্চ রেকর্ড।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে এ পর্যন্ত দেশে মোট ৬ লাখ ৮৯৫ জনের করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে মোট মৃত্যু রোগীর সংখ্যা এপর্যন্ত ৮,৯৪৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৫ লক্ষ ৩৮ হাজার ১৮ জন রোগী।

অধিদপ্তরের তথ্য মতে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ হাজার ১৯৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। যার মধ্যে করোনার নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১৮.৩৮%।

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সর্বোচ্চ উঠেছিল গত বছরের জুন ও জুলাই মাসের। সে সময়ে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে জুলাই মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চার হাজার রোগী শনাক্ত হতো। এই পরিস্থিতিটা বেশ কিছুদিন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকার পর এক মাসের বেশি সময় ধরে সংক্রমণ আবার বেড়ে যায়। এর মধ্যে ছয় দিন ধরে সাড়ে তিন হাজারের বেশি রোগী প্রতিদিন শনাক্ত করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জনেরা বলছে, আরেকটি সর্বোচ্চ চূড়ার দিকে যাচ্ছে দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি।

গত বছরে দেশে সংক্রমণ শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার যদিও কম ছিল। কিন্তু গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। এরপর মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ২০% এর উপরে থাকে। তারপর নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল। মাস ২ করোনা সংক্রমণের হার নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বর মাসের শুরুর দিক থেকে নতুন রোগী ও শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে। গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে করোনা সংক্রমণ আবার কমতে শুরু করে। তবে গত পাঁচ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সংক্রমণের হার ফের বেড়ে গেছে।

READ MORE  করোনায় মৃত্যু স্ত্রীকে এম্বুল্যান্সে বসে দেখলেন স্বামী : হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা

উল্লেখ্য, করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হয়। এবং এ বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে গণভাবে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা হয়।

আরো উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত করা হয়। বাংলাদেশে গত বছরের ৮ই মার্চ তারিখে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ার পর থেকে ১৭ মার্চ তারিখ থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই একবছর যাবত বন্ধ আছে।

-ডিবি আর আর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *