মিশ্র প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিগুলো ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে

প্রাথমিক

দৈনিক বিদ্যালয় :: বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবী আদায়ের জন্য সমিতির সংখ্যা নেহায়েত কম নয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব মহোদয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এর চীফ মহাপরিচালক মহোদয় সমিতির সংখ্যাধিক্যের কারনে উষ্মাও প্রকাশ করেছেন।

অনেকেই মনে করেন, সমিতির অভ্যন্তরে নানাবিধ মতবিরোধ, অদূরদর্শিতা, প্রধান নেতৃত্বের স্বেচ্ছাচারিতা, পক্ষপাতিত্ব, সঠিক দাবি চিহ্নিত করতে অপারগতা, স্থবিরতা, গতিহীনতা, অগণতান্ত্রিক মনোভাবসহ নানা কারনে মিশ্র সমিতি (প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক সম্মিলিত) ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।

সহকারী শিক্ষকগণ মনে করেছেন যে, প্রশিগণ, মেজরিটি সহকারীদের ব্যবহার করে নিজেদের শক্তি ও ক্ষমতা বৃদ্ধি করে নিজেদের আখের গুছিয়ে নিচ্ছেন।

প্রশিগণ ১৪ থেকে ১১তম গ্রেড বাগিয়ে নিয়েছেন। (যদিও তাদের ১৩শ গ্রেড পেতে প্রশি সমিতির সভাপতি জনাব বদরুল আলম মুকুল ভাই প্রধান মুখপাত্র হয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমরা প্রশিগণ সমর্থন দিয়েছি)।

তাছাড়া অনেকক্ষেত্রে শিক্ষা দীক্ষা ও কার্যতঃ শিক্ষাদান কার্যক্রমে এগিয়ে থাকা সহকারীদের পিছনে ফেলে রেখে প্রধাণ শিক্ষকগণের এগিয়ে যাওয়াকে প্রশিদের প্রতারণা হিসাবে প্রচারণা চালিয়ে বস্তুতঃ প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের মধ্যে স্থায়ী এবং মিমাংসার অযোগ্য দ্বন্দ্ব লাগিয়ে দেয়া হলো। পরস্পর পরস্পরের প্রতি অসহযোগিতা চালু হয়ে গেল। প্রকাশ্যে প্রশিদের দোষ চর্চা করা শুরু করল সহকারী শিক্ষকগণ! কমান্ডিং এবং ফলোয়িং কার্যতঃ অচল হতে থাকল। তারপর শুরু হলো সহকারী শিক্ষক সমিতি প্রতিষ্ঠা করার হিড়িক। দেখতে পেলাম ডজন ডজন সহশি সমিতি।

ইতোমধ্যে প্রশিগণ ২য় শ্রেণির পদ মর্যাদা পেল। এমতাবস্থায় ২য় শ্রেণি ও ৩য় শ্রেণির কর্মচারী মিলে একই সমিতি করার কোনো উদাহরণ না থাকায় প্রশি সমিতি প্রতিষ্ঠা করা তখন অপরিহার্য হয়ে উঠল।

কিন্তু প্রধান শিক্ষক সমিতির সংখ্যাও ২টি। প্রধান শিক্ষকরা ও হলো বিভক্ত। দূর্দান্ত মেধাবী তরুণ প্রশিগণ মর্যাদার নেশায় অন্ধ হলো। সিনিয়র প্রধান শিক্ষকগণও টাইমস্কেল পাবার নেশায় অধিকান্ধ। কারন, তাদের কারো চাকরি শেষ, কেউ শেষের পথে। তারা টিএস বঞ্চিত হয়ে দুঃখে কষ্টে এবং লজ্জায় দিশেহারা।

READ MORE  ইএফটিতে বেতন পেতে চলেছেন যে উপজেলার শিক্ষকরা

১০ম গ্রেড আগে হলে টিএস হবেই না, কিন্তু,টিএস আগে হলে ১০ গ্রেড পেতে বাঁধা নেই। বুদ্ধিমান লোকেরা কোনটি করবে? তরুণের তারুণ্য তো কোনো বাঁধা মানে না, যুক্তি মানে না।

তাই তরুণদের প্রতি ভালোবাসা রেখেই টাইমস্কেল বঞ্চিত সিনিয়র প্রশিগণ তাদের ন্যায্য পাওনা টাইমস্কেল পাবার আশায় বদরুল-দেলোয়ার স্যার পরিচালিত প্রধান শিক্ষক সমিতি টিএস পাবার আন্দোলনের সোল এজেন্ট হিসাবে টাইমস্কেল বঞ্চিত প্রশিগণ এই সমিতির পতাকা তলে সমবেত হয়েছে এবং হবে। সব রকমের সহযোগিতা করবে।

নিজেদের টাইমস্কেল নিজেরাই আদায় করে নেবে। টিএস বঞ্চিত প্রশিদের জাতীয় কমিটি হয়েছে। বিভাগীয় কমিটি হয়েছে। এবার জেলা ও উপজেলা কমিটি গঠন করতে হবে।

কোনো সমিতি চিনি না, চাই টাইমস্কেল।
টাইমস্কেল পাব না,তবে সমিতি কিসের?
যেই নেতা টাইমস্কেলের, সেই নেতা আমাদের।

-মো. এনামুল হক শামিম, সহ প্রচার সম্পাদক, বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি, কেন্দ্রীয় কমিটি।

-ডিবি আর আর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *