অটোপাস বিষয়ক সিদ্ধান্ত জানালেন ১১ সদস্য কমিটির প্রধান

মাধ্যমিক

দৈনিক বিদ্যালয় ডেস্ক :: রবিবার ১১ এপ্রিল আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদ বলেন, চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় কোন ভাবেই অটোপাশ দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, পরিক্ষা নিয়েই রেজাল্ট দেওয়া হবে।

এবছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরিক্ষায় অটোপাশের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না, না এমন গুঞ্জন সঠিক নয়।এবার পরিক্ষা নিয়েই এসএসসি ও এইচএসসির রেজাল্ট প্রদান করা হবে। তা না হয় পরিক্ষা পিছিয়ে যাবে।

নেহাল আহমেদ বলেন, পরিক্ষা নেওয়া ছাড়া আমাদের অন্যকোন ধরনের পরিকল্পনা নাই। পরিক্ষা ছাড়া অন্যভাবে রেজাল্ট তৈরী করা যাবে না। এছাড়া পরিক্ষা নেওয়া ছাড়া যে রেজাল্ট দিতে আইন পাশ করা হয়েছিল তা গত বছরের জন্য প্রযোজ্য ছিল। এবার সেটি কার্যকর হবে না।

এর আগে এসএসসি, এইচএসসির মতো বিভিন্ন শ্রেনীর সাময়িক পরিক্ষায় কিভাবে নেওয়া যায় এসব বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের এক সভায় আলোচনা হয়েছিল গত কিছুদিন আগে। সেখানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শ্রেণি পরীক্ষা ও পাবলিক পরিক্ষার বিষয়ে সুপারিশ করতে ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। যে কমিটির সভাপতি করা হয়েছিল ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদকে।

উক্ত ১১ সদস্যের কমিটি ‘বিকল্প কী করা যায়?’ এমন কমিটিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন বোর্ডের প্রতিনিধিদেরকে সদস্য করা হয়। সেই নবগঠিত কমিটিকে দেশে-বিদেশে বর্তমানে অনলাইন পরিক্ষা গুলো পর্যালোচনা করে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করতে বলা হয়েছে। এছাড়া চলতি মাসেই কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলে শিক্ষামন্ত্রনালয়।

এছাড়া এর আগে শিক্ষামন্ত্রী দিপুমনি বলেছিলেন, বিদ্যালয় যখন খোলা হবে আমরা ক্লাস করিয়েই এসএসসি ও এইচএসসি পরিক্ষা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করব। এসএসসির জন্য ২ মাস ও এইচএসসির জন্য ৮৪ কর্মদিবস ক্লাস নেওয়া হবে বলে জানা যায়।

READ MORE  মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে ভোকেশনাল : ৪ ধরনের শিক্ষক পদ সৃষ্টি

উল্লেখ্য, গত ২০ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। অটোপাস দেওয়া হয়েছিল।

-ডিবি আর আর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *