যেভাবে আইডি কার্ড পাবেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

অধিদপ্তর

দৈনিক বিদ্যালয় ডেস্ক :: দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগীয় কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য ডিপার্টমেন্টাল পরিচয় পত্র প্রদান এবং এর ব্যবহার নিশ্চিত করতে এক পরিপত্র জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গত ২১ এপ্রিল তারিখে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের দৈনন্দিন চলাচলসহ বিভিন্ন কাজে দাফতরিক পরিচয়পত্রের ব্যবহার হয়ে থাকে। এসকল ক্ষেত্রে দাফতরিক পরিচয়পত্র না থাকায় সংশ্লিষ্টদের নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এ অবস্থায় কর্মরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও অধিদপ্তরের আওতাধীন কর্মচারীকে দাফতরিক পরিচয়পত্র প্রদান এবং কর্মক্ষেত্রসহ দৈনন্দিন চলাচলে এর ব্যবহার নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়।

আরও পড়ুন : ব্যাংকের ঋণের কিস্তি পরিশোধে তিন মাস সময়

ঈদের আগেই শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি ও জামা-জুতা কেনার টাকা

বাড়ির বাহির হতে পরিচয় পত্র ব্যবহারের নির্দেশ প্রাথমিক শিক্ষক-কর্মচারীদের

৩০ দিনের মধ্যে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের ফলাফল

এখন কথা হল, কীভাবে তৈরি করতে হবে এই পরিচয় পত্র? কেমন হবে? কোথা থেকে আসবে টাকা?

এই প্রশ্নের উত্তর হলঃ বিদ্যালয়ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা’ বা স্লিপের টাকার অর্থ ব্যয় করে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের আইডি কার্ড তৈরির নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।

এছাড়া ছবিসহ তৈরি করা রঙিন কার্ডে সই করবেন নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা তথা উর্ধতন কর্মকর্তা কর্তৃক অধস্তনের কর্মকর্তা বা শিক্ষকদের আইডি কার্ডে স্বাক্ষর করবেন।

গত ২২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার আইডি কার্ড তৈরি সংক্রান্ত এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

যদিও গত ২১ এপ্রিলে অধিদপ্তর থেকে একটি নমুনা পাঠিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের আইডি কার্ড ইস্যুর নির্দেশনা দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। তবে কার্ড তৈরির জন্য অর্থ ব্যয়ের বিষয়ে পরিষ্কার কোন কিছু বলা হয়নি। এবিষয়ে বৃহস্পতিবার একটি পূর্ণাঙ্গ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

যে নির্দেশনায় বলা হয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন কর্মরত কর্মকর্তা, শিক্ষক ও কর্মচারীদের দাফতরিক পরিচয়পত্র ওয়েবসাইটে দেওয়া নমুনা অনুযায়ী “অভিন্ন” হতে হবে।

READ MORE  ভ্যাকসিন অ্যাপে রেজিষ্ট্রেশন করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের নির্দেশ

এখন জেনে নেওয়া যাক, যেসব নিয়মে আইডি কার্ড তৈরি করতে হবে?

# প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া নমুনা অনুসারে পরিচয়পত্র প্রস্তুত করতে হবে, ফলে সারা দেশে অভিন্ন আকারে আইডি হবে।

# প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের পরিচয়পত্র ইস্যু করবেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানার নির্বাহী কর্মকর্তা।

# এক্ষেত্রে অফিস প্রধানরা তার অফিসে কর্মরত সকলের এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তার অধঃস্তন অফিস প্রধানদের পরিচয়পত্র প্রদান করবেন।

# এছাড়া দাফতরিক পরিচয়পত্র ইস্যুর জন্য সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা পরিচয়পত্রের নমুনা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইট ই-প্রাইমারি স্কুল সিস্টেম থেকে সংগ্রহ করে তার আওতাধীন সকলকে জানাবেন।

# শিক্ষক, কর্মচারীরা তার তথ্য ও ছবি নমুনায় সংযোজন করে নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তার কাছে দাখিল করবেন।

# এরপর নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা জাতীয় পরিচয়পত্র এবং শিক্ষক পিন নম্বর সংযোজিত করে পরিচয়পত্রে সই করে ব্যবহারকারীকে প্রদান করবেন।

# এই পরিচয়পত্রধারী নিজ নিজ আইডিকার্ড সংরক্ষণ ও ব্যবহার করবেন। নিজ কর্মস্থল ও বাসস্থানের বাইরে দৈনন্দিন কাজেও সার্বক্ষণিক পরিচয়পত্রসহ চলাফেরা করতে বলা হয়েছে।

# এছাড়া পরিচয়পত্র তৈরিতে কালার প্রিন্ট ও লেমিনেশন করতে হবে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রে স্লিপ ফান্ড থেকে ও অন্য ক্ষেত্রে অফিসের আনুষঙ্গিক খাত থেকে এই খরচের ভার বহন করা যাবে।

শিক্ষা ও চাকুরী বিষয়ক খবরের বিশ্বস্ত ঠিকানা ‘দৈনিক বিদ্যালয়’ পড়ুন।

ডিবি আর আর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *