দৈনিক বিদ্যালয় ডেস্ক :: প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম গত ৪ঠা মে তারিখের একটি বক্তব্য হল, ‘১৩তম গ্রেড অনুযায়ী বেতন ফিক্সেশন না হওয়ার কারণে বেতন ও বাড়ি ভাড়ার যেটুকু কম পেয়েছেন তা বকেয়া হিসেবে পাবেন প্রাথমিক শিক্ষকরা। আর আসন্ন ঈদের বোনাস যারা কম উত্তোলন করেছেন তারাও বোনাসের বাকি অংশ পাবেন।’
বক্তব্যটি প্রকাশের পরে শিক্ষকদের মনে যেমন আশার সঞ্চার হয়েছে তেমনি ভয় ও কাজ করছে। আসলে কী প্রাথমিক শিক্ষক বা অন্যদের বেতনের বকেয়া যদিও ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব কিন্তু বাড়িভাড়া ও অন্যান্য ভাতা বা বোনাসের বকেয়া কী ফিরিয়ে বা এরিয়া দেওয়া সম্ভব!
এক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অপরিবর্তিত বক্তব্যটি ছিল “১৩তম গ্রেড অনুযায়ী বেতন ফিক্সেশন না হওয়ার কারণে বেতন ও বাড়ি ভাড়ার যেটুকু কম পেয়েছেন তা বকেয়া হিসেবে পাবেন আমাদের শিক্ষকরা। শুধু তাই নয় আসন্ন ঈদের বোনাস যারা কম উত্তোলন করেছেন তারাও বোনাসের বাকি অংশ পাবেন। কারণ এখনও ঈদ শেষ হয়ে যায়নি।”
এখানে বিশেষভাবে লক্ষণীয়, “কারণ এখনও ঈদ শেষ হয়ে যায়নি।” একথাটির অর্থ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঈদ শেষ হয়ে গেলে বোনাসের বকেয়া প্রদান সম্ভবত সম্ভব না! তবে ঈদের আগে উন্নিত গ্রেডে ফিক্সেশন করা হলে এটি সম্ভব।
এখন আসুন জেনে নেওয়া যাক উৎসব ও ভাতার বিধান কী আছে প্রচলিত বিধানে? এছাড়া উৎসব ভাতার বকেয়া প্রদান সম্পর্কে প্রচলিত বিধানে কী?
“অর্থ বিভাগ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আদেশ নং-অম/অবি(বাস্ত) -৪/এফবি-১২/৮৬/২৯, তারিখ: ৩ জুলাই ১৯৮৮ সাল ও বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক, সময় সময় জারিকৃত এ সংক্রান্ত অন্যান্য বিধানাবলী অনুসারে বার্ষিক উৎসব ভাতা এবং বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস ১৯৭৯ সালের (উৎসব ভাতা) বিধান অনুযায়ী শ্রান্তি ও বিনােদন ভাতা প্রদেয় হইবে। এই ভাতা একবার উত্তোলন করা হলে পরবর্তীকালে বেতন নির্ধারণ জণিত (পে ফিক্সেশন) কারণে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী কোন বকেয়া প্রাপ্য হইবেন না।
বিষয় : শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেড প্রদানের পূর্বে উচ্চতর গ্রেডে বেতন ভাতা প্রদান প্রসঙ্গে
-ডিবি আর আর।