প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের বিষয়ে লার্নিংলস তথ্য দিল ব্রাক ও পিপিআরসি

প্রাথমিক

ডিবি ডেস্ক :: দেশে করোনা ভাইরাসের আঘাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমুহ ১ বছর ১ মাস ২৪ দিন ধরে বন্ধ আছে। এই আঘাতেই এ সময়ে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৯% শিক্ষার্থী ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৫% শিক্ষার্থী লার্নিংলস বা শিখতে না পারার ঝুঁকিতে পড়েছে।

এটি মনগড়া কোন তথ্য-উপাত্ত নয়। এমনি এক ভয়ংকর তথ্য উঠে এসেছে গবেষণা লব্ধফল থেকে। এই শিক্ষার্থীদের জন্য পুনরুদ্ধার কর্মসূচি হাতে না নিলে ঝরে পড়তে পারে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের এসকল শিক্ষার্থীরা। তথ্য সূত্র : পিপিআরসি ও বিআইজিডি।

এই গবেষণাটি পরিচালনা করেছে দেশের ’ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-বিআইজিডি’ ও ”পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার-পিপিআরসি।”

উক্ত গবেষণাটি গ্রাম ও শহরে থাকা প্রায় ৬০৯৯ জন অভিভাবকদের কাছ থেকে নেওয়া তথ্য-উপাত্তের উপর ভিত্তি করে পরিচালনা করা হয়েছে। জরিপটি গত ১১ থেকে ৩১ মার্চ তারিখ পর্যন্ত পরিচালনা করা হয়।

দুই গবেষণা প্রতিষ্ঠানের দুই কর্ণধার আজ ১০ই মে, সোমবার এক ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ সকল তথ্য ও গবেষণা লব্ধ ফল তুলে ধরেন পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এর নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন।

এ অনুষ্ঠানে পিপিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের গবেষণার উঠে আসা লার্নিং লসে পড়ার ঝুঁকিতে থাকা শিক্ষার্থীদের শতাংশ দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ও মাধ্যমিকের বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর সঙ্গে মেলালে প্রায় ৬০ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী এই ঝুঁকির মধ্যে আছে। তিনি বলেন, এরা ড্রপআউট হয়ে যাওয়ার হুমকিতে আছে। তিনি এই ড্রপআউট হয়ে যাওয়ার কারণ উল্লেখ করে বলেন, এসকল শিক্ষার্থীরা মোটামুটি পড়াশোনার বাইরে আছে। এদের ফিরিয়ে আনা না গেলে, তারা অবধারিতভাবে ঝরে পড়বে। এদের জন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির পরামর্শ হল, তাদের জন্য পুনরুদ্ধার কর্মসূচি হাতে নিতে হবে।

এছাড়া উক্ত অনুষ্ঠানে একটি ইতিবাচক তথ্যও উপস্থাপন করা হয়। আর তা হল, এই জরিপে অংশ নেওয়া ৯৭.৭% প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের অভিভাবক এবং ৯৬% মাধ্যমিক বিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক বলেছেন, বিদ্যালয় পূণরায় খুললে তারা তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাবেন।

READ MORE  ৯.৩.১৪ থেকে টাইমস্কেল পাবেন না প্রাথমিক শিক্ষকরা : পরিপত্র জারি

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য জরুরী নির্দেশনা

বিষয় : শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেড প্রদানের পূর্বে উচ্চতর গ্রেডে বেতন ভাতা প্রদান প্রসঙ্গে

নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে যেয়ে করোনায় প্রাণ হারালো ৭০০ শিক্ষক

প্রাথমিক শিক্ষকদের অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার নির্দেশ

উক্ত গবেষণায় পূনরায় বিদ্যালয় খোলার উপর গুরুত্বারোপ করেছে। তবে তারা বলছে, করোনার গতিবিধির উপর লক্ষ্য রেখেই তারপর বিদ্যালয় খোলার তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ মার্চ তারিখ হতে আজ ১ বছর ১ মার্চ ২৪ এই দীর্ঘ সময় বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন ক্লাস ও এসাইনমেন্ট চালু রেখেছে শিক্ষকরা। এছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন ক্লাসের পাশাপাশি সর্বশেষ শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ার্কশীট বিতরণ করছে।

-ডিবি আর আর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *