Site icon Real Raw News

পশ্চিমবঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল না পিছিয়ে যাবে : দেশে আরো ১-২ মাস

ডিবি ডেস্ক :: করোনায় দুই দেশের মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষা গ্রহনের খবর কী? আজ দেশের ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা কখন অনুষ্ঠিত হতে পারে সেটি নিয়ে আলোচনা।

ভারতের পশ্চিম্বঙ্গের মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষা কী এবছরের মত বাতিল হবে? নাকি অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে যাবে? এবিষয়ে পিশ্চমবঙ্গের মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (পর্ষদ) এর সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “নির্ধারিত সময়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা (এসএসসি পরীক্ষা) সম্ভব নয়।

সেদেশের পত্র-পত্রিকা মারফত জানাগেছে, চলতি বছরের মতো মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল না পিছিয়ে দেওয়া হবে সেটি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে।

জানাগেছে, ১১ মে, মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যে স্কুল শিক্ষা সচিবের সঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর) এর বৈঠকের পর পরীক্ষা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট ও সুপারিশ ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। সেই রিপোর্ট, সুপারিশ ও পর্যালোচনা করে মাধ্যমিকে এবছরে পরীক্ষা নেওয়া যাবে কিনা সে নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন মমতা ব্যানার্জি।

১১ মে বিকালে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আপাতত নির্ধারিত সূচিতে মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না। এই পরীক্ষা পিছিয়ে যাবে না বাতিল হবে তা সরকারের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সব ঠিক থাকলে চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা ১ জুন শুরু হয়ে ১০ জুন ঐচ্ছিক বিষয় হয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল। সেখানের করোনা পরিস্থিতি ও ভোটের কারণে চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা বেশ খানিকটা পিছিয়ে ১ জুন শুরুর কথা গত বছরের ২৬ ডিসেম্বরই পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একথা জানিয়েছিলেন।

দেশে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা কবে অনুষ্ঠিত হবে

অন্যদিকে আমাদের দেশে গত এক যুগ ধরে ১ ফেব্রুয়ারি মাসে এসএসসি ও ১লা এপ্রিল তারিখ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে আসছে। কিন্তু এ বছর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। যে কারণে এসএসসিতে ৬০ দিন এবং এইচএসসিতে ৮৪ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে জুন-জুলাইয়ে এসএসসি এবং সেপ্টেম্বর অক্টোবরে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে তাও সম্ভব হচ্ছে না। ফলে আরও দুই মাস পিছিয়ে যেতে পারে এই দুইটি পাবলিক পরীক্ষা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা।

তবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, এবার কোনভাবে অটোপাস দেওয়া হবে না। সর্বোচ্চ নির্ধারিত সময় থেকে দুই-এক মাস পিছিয়ে যেতে পারে এই দুটি পরীক্ষা। এক্ষেত্রে কীভাবে পরীক্ষা হবে সে বিষয়ে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

এবিষয়ে ৫মে, বুধবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেছেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জন্য সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে দেওয়া হয়েছিল। জুন-জুলাই মাসে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত ও ছিল। তবে সেটি হয়তো দুয়েক মাস পিছিয়ে যেতে পারে। কিন্তু অটোপাস নয় পরীক্ষা হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

উল্লেখ্য, দেশে এর আগে ৬০ দিন ক্লাস শেষে এসএসসি এবং ৮৪ দিন ক্লাস করিয়ে এইচএসসি নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল মন্ত্রণালয়, কিন্তু করোনার ঊর্ধ্বগামী সংক্রমণের কারণে সে পরিকল্পনা ভেস্তে গেল। এখন নতুনভাবে আবার চিন্তাভাবনা করার পালা।

ডিবি আর আর।

Exit mobile version