শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়বে : আসতে হবে ৫ শতাংশ

শিক্ষা মন্ত্রণালয়

ডিবি ডেস্ক :: দেশের করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় আবারো প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক সহ সকল বিশ্ব বিদ্যালয়ে আবারও ছুটি বাড়তে পারে।

শিক্ষা ও প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যতদিন করোনা সংক্রমণের হার ৫% এর নিচে না আসলে আগামী জুন মাসও বন্ধ থাকবে দেশের সকল ধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

চলতি শেষ বার ঘোষিত সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ২৯ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

“আমরা চেষ্টা করছি করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রথম সুযোগেই যেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারি, তবে প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। কথাটি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সচিব মো. মাহবুব হোসেনের। “আমরা কীভাবে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া শুরু করতে পারি এবং শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে সংযুক্ত করা যায় তা নিয়ে এখন আমরা কাজ করছি। একথাগুলো তিনি যোগ করেন।

অন্যদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক বলেন, চলতি করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের মধ্যে আসলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমুহ খুলে দেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রথমে এসএসসি সমমান পরীক্ষা এবং এইচএসসি সমমান পরীক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস চুড়ান্ত করার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেয়া হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্য ক্লাসগুলোর শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আনা হবে।

অধ্যাপক তপন কুমার সরকার, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সচিব বলেন, সরকারের এ মুহূর্তের প্রধান অগ্রাধিকার ভিত্তিক কাজ হচ্ছে, যে কোনো মূল্যে এসএসসি ও এইচএসসি সমমান পরীক্ষার অনুষ্ঠিত করা। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কবে নাগাদ পরীক্ষা নেয়া যাবে বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। তিনি বলেন, এ সম্পর্কে এখনো কোনো সিদ্ধান্তও হয়নি। তবে আমরা (শিক্ষা বোর্ড) এই দুটি পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছি।

এখানে উল্লেখ্য, গত বছরের মার্চ মাসের ১৭ তারিখ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমুহ বন্ধ আছে। এই ছূটির শেষ হবে করোনা বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির মতে, করোনা সংক্রমণের হার সিঙ্গেল ডিজিটে আসলেই তবে।

READ MORE  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বেড়েছে ১২ তারিখ পর্যন্ত

এছাড়া বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার পর ৬০ কর্মদিবস এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রম চালানো হবে এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ৮৪ দিন ক্লাস নেওয়া হবে। এজন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ও তৈরি হয়েছে।

এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ঘোষিত ছুটিই মূলত সকল মন্ত্রণালয়-অধিদপ্তর অনুসরণ করে। শিক্ষা মন্ত্রনালয় ছুটি দিলেই দেশের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সহ সকলে আলাদা পরিপত্র জারি করে একই দিবস পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে। এই পরিস্থিতে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় সমুহ না খুলতে পারায় বিপাকে আছে দেশের সর্বমোট ৪ কোটির উপরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক।

ডিবি আর আর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *