শিক্ষার্থীদের বেতন, ভর্তি ফি, সেশন চার্জ, ফরমপূরণের টাকার নতুন নীতিমালা

শিক্ষা মন্ত্রণালয়

ডিবি ডেস্ক :: এখন থেকে দেশের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নগদ টাকার লেনদেন আর হবেনা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহের আর্থিক স্বচ্ছতা আনতেই এই নীতিমালা তৈরি করতে যাচ্ছে দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

জানাগেছে, মূলত এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতন, ভর্তি ফি, সেশন চার্জ, এবং বোর্ড পরীক্ষার ফরমপূরণের টাকাসহ সমস্ত আয়ের টাকা আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থাকবে না। দেশের সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এই নীতিমালা প্রয়ণয়ন করা হচ্ছে।

সেই খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, এই নীতিমালা প্রণয়নের পর ব্যাংকের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি সহ অন্যান্য ফি গ্রহন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনভাবে প্রতিষ্ঠান নগদ অর্থ আদায় করতে পারবে না।

এজন্য পরিচালনা কমিটির সভাপতির নেতৃত্বে ৩ জন সিনিয়র শিক্ষকের সমন্বয়ে একটি অর্থ কমিটি গঠিত হবে। এছাড়া, অন্য ৩ জন সিনিয়র শিক্ষক আরো একটি কমিটি সব ধরণের অর্থ সংক্রান্ত মাসিক প্রতিবেদন সেই অর্থ কিমিটর কাছে জমা দেবে। 

সেই খসড়া নীতিমালায় আরো বলা হয়, দৈনন্দিন কার্যক্রমের খরচের জন্য প্রতি মাসের শুরুতে প্রয়োজনীয় অর্থের জন্য আবেদন দেবেন প্রতিষ্ঠান প্রধান। যে আবেদনের সঙ্গে আগের মাসের বিল ভাউচারসহ হিসাব বিবরণী দাখিল করতে হবে। যাচাই বাছাই করার পর অর্থ কমিটি এই অর্থ ছাড় করবেন এবং পরিচালনা কমিটির কাছে উপস্থাপনের জন্য বিল-ভাউচারগুলো সংরক্ষণ করতে হবে।

এছাড়া তিনজন শিক্ষকের সমন্বয়ে একটি অডিট কমিটিও গঠন করতে হবে। সেই অডিট কমিটি পরের বছরের ৩১ জানুয়ারীর মধ্যে নীরিক্ষা প্রতিবেদন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর- মাউশিতে দাখিল করবেন। তবে অর্থ কমিটির সভাপতি ও অপর এক সদস্যের যৌথ্য স্বাক্ষরে এই হিসাব পরিচালনা হবে।

উক্ত এমন নীতিমালা জারি হলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া অর্থ ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে চলে যাবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহ তখন আর কোনভাবেই শিক্ষর্থীদের কাছ থেকে নগদ টাকা আদায় করতে পারবেন না। যার ফলে এই টাকা এদিক-ওদিক হওয়ার আর সুযোগ থাকবে না।

READ MORE  বদলী আটকে যাচ্ছে শিক্ষকদের

নীতিমালাটি সব সধরণের এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কার্যকর করা হবে। এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয় ব্যায় সংক্রান্ত নীতিমালা চূড়ান্তকরণ সভা, যা ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এধরণের একটি ঈঙ্গিত দেন।

যে ভার্চুয়াল সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক গোলাম ফারুক প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন : খুলনা বিভাগীয় শিক্ষার নতুন ডিডি আব্দুল খালেক

স্কুল খোলার পর বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হবে শিক্ষা কার্যক্রমে

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়বে : আসতে হবে ৫ শতাংশ

মাধ্যমিকের ক্লাস হচ্ছে কিনা অনলাইনে মনিটরিংয়ের নির্দেশ

ডিবি আর আর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *