দুর্নাম কুড়ানো সেই অফিসার এখন সুনামগঞ্জে

ডিবি ডেস্ক :: প্রাথমিক শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেড বাস্তবায়নে প্রতিজন সহকারী শিক্ষকের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে ঘুষ নেওয়ার অপরাধে চাঁদপুর কচুয়া উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. আনোয়ার উল্লাহকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে।

৩০ মে, সোমবার তাকে এক সরকারি আদেশে সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলায় বদলি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : প্রাথমিক শিক্ষকদের যে তথ্য পূরণ পূর্বক অধিদপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে

জুনে পুলিশে বিশাল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি : শিক্ষাগত ও শারীরিক মাপে পরিবর্তন আসছে

১৩ তারিখে কী আসলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে?

এর আগে এই হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার ঘুষ গ্রহনের একটি ভিডিও যাতে দেখা গেছে, শিক্ষকরা ফাইল সইয়ের জন্য তার অফিসে দাঁড়িয়ে আছেন এবং ফাইল সই শেষে তিনি টাকা নিচ্ছেন।

এই ভিডিও মূহুর্তে ভাইরাল হলে তাকে কচুয়া থেকে শাল্লা উপজেলায় বদলী করা হয়েছে।

এই বদলি আদেশটি তার ঘুষ গ্রহনের ভিডিও প্রকাশের ১৯ ঘণ্টার মধ্যে প্রদান করা হয়েছে।

উক্ত ঘটনায় দেশের প্রাথমিক শিক্ষকদের স্বস্তি ও উল্লাস প্রকাশ প্রকাশ করে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিতে দেখা গেছে।

এছাড়া ঘুষগ্রহণের কারণে মো. আনোয়ার উল্লাহ এর পরিবর্তে পাশের হাজীগঞ্জ উপজেলার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে এই উপজেলায়।

উল্লেখ্য, শিক্ষকদের ভাষ্যমতে এই ঘুষ প্রদানের চিত্র হয়ত শুধুমাত্র কচুয়ায় ধরা পড়েছে। কিন্তু এচিত্র প্রায় একাউন্স অফিস ও শিক্ষা অফিসের।

গত ১০ মে মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে বেতন ফিক্সেশন করার কথা থাকলেও শিক্ষা অফিস ও একাউন্স অফিসের গাফিলতির কারণে এটি এখনো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা। যদিও ইতিমধ্যে কয়েকটি উপজেলায় ১৩ তম গ্রেডে বেতন উত্তোলন করেছেন শিক্ষকরা।

ডিবি আর আর।

READ MORE  শিক্ষকদের উচ্চতর গ্রেডে বেতন প্রাপ্তিতে সুখবর

Leave a Comment