প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিফিনে যা খেতে দেওয়া হবে

ডিবি ডেস্ক :: আগামী বছর থেকে সারা দেশের ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল কার্যক্রম শুরু করার কথা সরকারের। এই প্রকল্প পর্যায়ক্রমে দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এ কার্যক্রমের আওতায় আসবে ২০২৩ সালে। প্রথম বছর ২০২১ সালে কার্যক্রম চালু হবে ২৫০ উপজেলায়। যদিও বর্তমানে উপকুলীয় ১৬টি উপজেলায় মিড-ডে মিল চালু আছে।

এই প্রকল্পটি একনেকের সভায় পাসের জন্য উপস্থিত হলেও বাতিল হয়ে যায়। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ : একনেক নির্বাহী কমিটির সভায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলে ‘খিচুড়ি রান্না’ প্রকল্প বাতিল হলেও দুধ, ডিম, কলা, বিস্কুটের প্রকল্প পাস হওয়ার আশ্বাস পাওয়া গেছে।

১ জুন, মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় ‘প্রাইমারি স্কুল মিড ডে মিল’ প্রকল্পটি তোলা হলে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের রান্না করা খাবার না দিয়ে রান্না ছাড়া খাবারের পক্ষে মত দেন। এবং তিনি এই প্রকল্পটি খিচুড়ি রান্না করা খাবারের পরিবর্তে কী করা যায়, তা উপস্থাপনের নির্দেশ প্রদান করেন।

অনুষ্ঠিত একনেকের সভার তথ্য মতে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাল, ডাল, তেল, শাকসবজি দিয়ে খাবার রান্না করা হলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হতে পারে। সেজন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নতুন আঙ্গিকে শিক্ষার্থীদের খাবার প্রদান বা মিড-ডে মিল প্রকল্প হাতে নিতে বলেছেন। সেই নতুন আঙ্গিক হতে পারে একদিন দুধ, একদিন ডিম ও একদিন বিস্কুট প্রদান সহ বিভিন্ন বৈচিত্রময় অরান্নাকৃত রেডিমেড ফাস্টফুড।

একনেক বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘প্রাইমারি স্কুল মিল’ প্রকল্পটি বাদ দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এটি পছন্দ করলেও এর কাঠামোগত পরিবর্তন আনতে বলেছেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, স্কুলের শিক্ষার্থীদের খাবার দেওয়া অব্যাহত রাখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে তা রান্না করা খাবার হিসেবে নয়। নতুন কোনো ফরমেটে দিতে বলেছেন।

এর আগে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় থেকে পুষ্টিকর খাবার সরবরাহের জন্য ১৭ হাজার ২৯০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয় প্রাথমিক সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। যে প্রকল্পের সম্পূর্ণ অর্থের যোগানোদাতা হবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

READ MORE  বিষয় : প্রাথমিক শিক্ষকদের স্কুল ত্যাগের সময় নির্ধারণ

এজন্য এই প্রকল্পের আওতায় খিচুড়ি রান্না ও পরিবেশনের প্রশিক্ষণ নিতে ১ হাজার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিদেশ সফরের একটি প্রস্তাব ছিল, যা নিয়ে দেশে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। যার ফলে সেই খিচুড়ি রান্না শিখতে বিদেশ যাওয়া খাতটি বাদ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন : প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, কর্মচারীদের শুমারির তথ্য পূরণের আদেশ

উপবৃত্তি বাবদ ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছাড় : শিক্ষার্থীরা টাকা পাবে যখন

প্রাথমিক শিক্ষকদের যে তথ্য পূরণ পূর্বক অধিদপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে

উল্লেখ্য, এই স্কুল মিল প্রকল্পটি ২০৩০ সালের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদেরকে পর্যায়ক্রমে স্কুল মিল কার্যক্রমের আওতায় এনে তাদের শিক্ষা, পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তায় অবদান রাখাতে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছিল। এই প্রকল্পে খাদ্যদ্রব্য হিসেবে চাল-ডাল, ভোজ্যতেল, বিস্কুট ও শাকসবজি ইত্যাদি ক্রয় করা হবে ১১ লক্ষ ১১ হাজার ৪৪ মেট্রিক টন। এছাড়া মিল পরিবহন ও তদারকির জন্যও ব্যয় রাখা আছে বলে জানা গেছে।

ডিবি আর আর।

Leave a Comment