স্থগিত থাকা মাদ্রাসার সহকারী গ্রন্থাগারিক ও গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ সিদ্ধান্ত দ্রুতই

নিয়োগ

নিজস্ব প্রতিবেদক :: মাদ্রাসায় সহঃগ্রন্থাগারিক ও গ্রন্থাগারিক পদের নিয়োগ কেনো স্থগিত রাখা হয়েছে তা কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিবের কাছে জানতে চেয়ে গত ২২জুলাই মাদ্রাসা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে একটি নোটিশ প্রকাশ করা হয়। তাতে কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম খান বরাবর মাদ্রাসা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, কে এম রুহুল আমিন বিষয়টি নোটিশ আকারে আবেদন করেন।

উল্লেখ্য, গত ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ তারিখে মাদ্রাসায় এ পদে নিয়োগের জন্য ১৬ শর্ত পূরণের একটি খসড়া নীতিমালা কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগে পাঠানো হয়, তারপর থেকেই মূলত পদদুটিতে নিয়োগের জন্য ডিজি প্রতিনিধি অনুমোদন দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়।

এব্যাপারে মাদ্রাসা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (দাখিল ও এবতেদায়ি মাদ্রাসা) জান্নাতুন নাহারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক বিদ্যালয়কে জানিয়েছিলেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিবের মৌখিক নির্দেশে আমরা এগুলোর প্রতিনিধি ইস্যু করা স্থগিত রেখেছি। আমরাও মূলত জানি না কেনো এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা এ বিষয়ে দ্রুত আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত প্রকাশের জন্য সচিব মহোদয় বরাবর (২২জুন) লিখিত আবেদন জানাই।

বিষয়টি সম্পর্কে গত ২৩জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাদ্রাসা) হাবিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে উনি জানিয়েছিলেন, আমরা অধিদপ্তরের নোটিশের ব্যাপারে অবগত হয়েছি, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্রুত একটি আদেশ প্রকাশ করা হবে। তবে ১০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও কোনো আদেশ প্রকাশ না পাওয়ায় এবং ১লা জুলাই থেকে ৭দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হওয়ায় দ্রুত সিদ্ধান্ত প্রকাশের ব্যাপারে এ পদগুলোতে চাকরি প্রত্যাশীদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দেয়। এমতাবস্থায় ২রা জুলাই অতিরিক্ত সচিব(মাদ্রাসা) হাবিবুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক বিদ্যালয়কে জানান, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে একটা কমিটি করা হয়েছে, আমরা কমিটির সুপারিশ ক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্রুত একটা আদেশ জারি করবো।

READ MORE  প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৭ হাজার ৬৭২টি পদ যে কারণে সংরক্ষণের নির্দেশ

কবে নাগাদ এ ব্যাপারে আদেশ জারি হতে পারে এবং বিদ্যমান লকডাউন পরিস্থিতিতে আদেশ জারি হতে দেরি হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, লকডাউন চললেও মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম অনলাইনের (ভার্চুয়াল) মাধ্যমে চলমান আছে। তবে কবে এ ব্যাপারে আদেশ জারি হবে তা অনুমান করে বলা যাচ্ছে না। আমরা কমিটির সুপারিশ পেলে যত দ্রুত সম্ভব তা প্রকাশ করবো।

যেহেতু স্কুল কলেজের নতুন নীতিমালায় পদদুটির মর্যাদা ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন সাধিত হয়েছে তাই মাদ্রাসার ক্ষেত্রেও এরূপ কোনো পরিবর্তন আসবে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়গুলো সম্পর্কে নীতিনির্ধারক কমিটি যা সুপারিশ করবে তার উপর সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে। এ ব্যাপারে আগাম কিছু বলা যাচ্ছে না।

উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ স্কুল কলেজের নতুন নীতিমালায় সহঃগ্রন্থাগারিক পদটির মর্যাদা পরিবর্তন করে সহঃশিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান) করা হয় এবং গ্রন্থাগারিক পদটির পদমর্যাদা পরিবর্তন করে গ্রন্থাগার প্রভাষক করা হয় এবং ৩১ মে তারিখের একটি প্রজাপন জারির মাধ্যমে পদদুটির নিয়োগ প্রক্রিয়া এনটিআরসিএর অধীন দেওয়া হয়।

এমন পরিস্থিতিতে মাদ্রাসার ক্ষেত্রেও এই দুটি পদের মর্যাদা ও নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠে।
তাছাড়া স্কুল-কলেজের নীতিমালার সাথে মাদ্রাসা নীতিমালায় পদদুটির শিক্ষাগত যোগ্যতাও পার্থক্য বিদ্যমান।

এর পূর্বে কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের একান্ত সচিব(উপসচিব) মোবাশ্বের হাসানের সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি সরাসরি নীতিমালার সাথে জরিত নই, তবে যতটা জানি স্কুল-কলেজের নীতিমালার সাথে মাদ্রাসা নীতিমালার এই দুই পদের কিছু বিষয়ে অসামঞ্জস্যতা রয়েছে। তার সমন্বয় ব্যাপারে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় যদি একটা গাছ হয় তাহলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ তার দুইটি শাখা। শাখা দুইটা হলেও গাছ তো একটাই তাই ফলও একই রকম হবার কথা।

মাদ্রাসা নীতিমালার ক্ষেত্রে এই দুই পদের কোন কোন বিষয়াবলির সমন্বয় হতে পারে এমন কোনো ইঙ্গিত তিনি দেন নি। যেহেতু স্কুল-কলেজের নতুন নীতিমালা-২০২১ প্রকাশিত হয়েছে তাই মাদ্রাসার ক্ষেত্রেও নতুন নীতিমালা প্রণয়ন হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এ ব্যাপারে এখন কোনো নির্দেশ পাওয়া যায় নি, তাছাড়া স্কুল-কলেজের নতুন নীতিমালা প্রণয়ন হলেই যে মাদ্রাসায় নতুন নীতিমালা প্রণয়ন হতে হবে এমন নয়, তবে সবকিছুই যেহেতু পরিবর্তনশীল তাই প্রয়োজন হলে বা নির্দেশ পেলে যেকোনো সময় নীতিমালা পরিবর্তন বা নতুন নীতিমালা প্রণয়ন হতে পারে।

READ MORE  প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিনে ৪৪জন সহকারী শিক্ষক পদে চাকুরী

আরও পড়ুন : ১ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী ৫ হাজার ও আড়াই হাজার টাকা করে পাচ্ছেন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূনরায় সভাপতি হতে সংসদ সদস্যদের আপিল

উপবৃত্তি প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের তালিকা ডাউনলোড করার পদ্ধতি

ডিবি আর আর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *