দৈনিক বিদ্যালয় :: সরকারি সরকারি চাকরিজীবীদের নিয়মিত সম্পদের হিসাব দেওয়ার নিয়ম বাস্তবায়নে তাগিদ দিয়ে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের চিঠি দিয়েছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সরকারের সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা অনুযায়ী, পাঁচ বছর পরপর সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদ বিবরণী দাখিল এবং স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন বা বিক্রির অনুমতি নেওয়ার কথা লিপিবদ্ধ আছে।
সেই বিধিমালাটি বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়ে সম্প্রতি এ চিঠি দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কে এম আলী আজমকে ২৫ জুলাই প্রশ্ন করা হয় যে, সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দিতে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে কি না? উত্তরে তিনি বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছে, এখন সম্পদের হিসাব দেওয়া শুরু হবে। এরপরও যদি কেউ না দেয়, সেক্ষেত্রে অবশ্যই সময় বেঁধে দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, আগামী মাসে এ সময়টা আমরা বেঁধে দেব।
দুর্নীতি রোধে এই পদক্ষেপ ভূমিকা রাখবে। এছায় এটি নিশ্চিত হলে দুর্নীতি কমবে। প্রশাসনে দুর্নীতি রোধ এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের জন্য সরকারের নানা রকম উদ্যোগ আছে। এই সম্পদের হিসাব প্রদানের তাগিদের বিষয়টিও সেই উদ্যোগের অংশ বলে জানান সচিব।
উক্ত সকল মন্ত্রণালয়ের সচিবদের কাছে পাঠানো চিঠিতে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ এর বিধি ১১, ১২ ও ১৩ তে সরকারি কর্মচারীদের স্থাবর সম্পত্তি অর্জন, বিক্রয় ও সম্পদ বিবরণী দাখিলের বিষয়ে নির্দেশনা থাকার বিষয়টি মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া সেই বিধিগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে প্রতিপালনের মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে জানাতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের সরকারি কর্মচারীদের জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট বা সম্পত্তি ক্রয় বা অর্জন ও বিক্রির অনুমতির জন্য আবেদনপত্রের নমুনা ফরম এবং বর্তমানে বিদ্যমান সম্পদ বিবরণী দাখিলের ছক চিঠির সঙ্গে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সুত্রে জানা গেছে।
৭ম শ্রেণির শিক্ষাথীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
ডিবি আর আর।