দৈনিক বিদ্যালয় ডেস্ক : : অনেকদিন ধরেই তো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে চাইছে সরকার। সেজন্য আগামী মাসে তথা সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যায় কিনা সেই সম্ভাবনা যাচাই বৈঠক আজ। এজন্য বৈঠকে বসছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যে বৈঠকে যোগ দেবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের শীর্ষ ব্যক্তি ও কর্মকর্তারা।
এ বৈঠকে চলমান করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা ছাড়াও শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের টিকা দেয়ার অগ্রগতি, শিক্ষার ক্ষতি পোষানোর সম্ভাব্য কৌশল নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা করার কথা আছে। এ বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানা যাবে আগামী শনিবার অথবা রোববার। সংবাদ সম্মেলন করে সিদ্ধান্ত জানাবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বৈঠকের বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই নির্দেশনা পাওয়ার পর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জোর প্রস্তুতি চলছে। এলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার শিক্ষা বিষয়ক দুই মন্ত্রণালয় (তথা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়) ও এর অধীনস্থ সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানদের নিয়ে এ সংক্রান্ত একটি পর্যালোচনা বৈঠক বসবে।
সচিব আরও জানান, এখন করোনা সংক্রমণের হার নিম্নগামী। সব বিষয়গুলো আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। এছাড়া করোনা মোকাবিলা সরকারের গঠিত পরামর্শক কমিটি ও দেশের প্রবীণ শিক্ষাবিদদের মতামত ও নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে শিগগিরই শিক্ষামন্ত্রী এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলবেন।
এবিষয়ে আরও জানা গেছে, দুপুরে ভার্চুয়াল এ বৈঠকে নীতিনির্ধারকরা চলমান করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রমের পর্যালোচনা করবেন। এই বৈঠকে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা- এ দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং তিনজন সচিব যোগ দেবেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি কমিটির সদস্যদেরকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বৈঠকে।
নিউজটি শেয়ার করুন :: ডিবি আর আর।
