ক্লাসরুম ভাড়া দেওয়া হয়েছে, শিক্ষার্থীরা ঘুরে ফিরে বাড়ি চলে গেল

প্রাথমিক

খুলনার পাইকগাছায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুইটি শ্রেণিকক্ষ ভাড়া দেওয়া হয়েছে। যার ফলে স্কুল খোলার পরে অনেক দিন পরে শিক্ষার্থীরা স্কুলে এসে এদিক-সেদিক ঘুরে ফিরে বাড়ি চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

আরও খবর: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা কী এবছরেই?

বিষয় : প্রাথমিক শিক্ষকদের স্কুল ত্যাগের সময় নির্ধারণ

প্রাথমিকে সব ক্লাস একসাথে চলবে কবে থেকে : প্রাগশি প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য

তার ক্লাসে সবার বিয়ে হয়ে গেছে

জানা গেছে, গত বছরের ২৭ মার্চ কোভিড-১৯ এর প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের অন্যসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মত খুলনার পাইকগাছা উপজেলার ’কালুয়া গড়েরআবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু স্থানীয় একটি রাস্তার কাজ করতে আসা শ্রমিকদের থাকার জন্য বিদ্যালয়টির দুটি কক্ষ ভাড়া দেওয়া হয়। অথচ এই বিদ্যালয়ের মোট শ্রেণি কক্ষ আছে অফিস কক্ষ ছাড়া মোও ৩টি। যার মধ্যে দুটি কক্ষকে ভাড়া দেওয়া হয়।

দুটি কক্ষে শ্রমিকদের পারিবার সহ মোট ৮ জন নারী-পুরুষ এক মাসেরও অধিক সময় সেখানে থাকা খাওয়া করছে বলে স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে।

অন্যদিকে স্কুল খোলার প্রথম দিন বাকি একটি নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন কক্ষে শতাধিক শিক্ষার্থীদের রোববার ঠাসাঠাসি পরিবেশে পাঠদান করানো হয়।

বিষয়টি জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম মাসুদুল হক জানান, আমাদের স্কুলের সভাপতি সোলায়মান সানা শ্রমিকদের থাকার জন্য এ ব্যবস্থা করেছেন। তিনি জানান, গজালিয়া থেকে চৌমুহনী রাস্তার কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনদের থাকার স্থান না থাকায় স্কুলে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।

অবশ্যই এমন অভিযোগ স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সোলায়মান সানা অস্বীকার করে দোষ চাপিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আক্কাস ঢালী ও এলাকাবাসীর উপর।

বিষয়টি সম্পর্কে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ঝংকর ঢালী বলেন, স্কুল খোলার এক সপ্তাহ আগে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়টি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার নির্দেশ দিয়ে এসেছি।

READ MORE  ৬ বছর স্কুল না করে বেতন তুললেও বিভাগীয় মামলায় চাকুরী যায়নি প্রধান শিক্ষিকার!

স্কুলে রাস্তায় কাজ করা শ্রমিকদের থাকতে দেওয়ার বিষয়ে পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, “কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান ভাড়া দেওয়ার এখতিয়ার কারও নেই। আমি বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারকে কারণ দর্শানোর জন্য বলছি। শোকজ এর জবাব পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি। -ডিবি আর আর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *