করোনা পজিটিভ বিদ্যালয়টিতে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল

দৈনিক বিদ্যালয় রিপোর্ট :: ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের অন্যান্য স্কুল-কলেজের সাথে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর পাঠদান শুরু হয়েছে। চলছে আনন্দমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।

আরও খবরঃ
‌🔵প্রাথমিক শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতার তালিকা প্রকাশ : আপত্তি জানাতে হবে যেভাবে

🟣এবার স্কুল শিক্ষার্থীদের ১৫-২০ দিনের মধ্যে টিকা

🟢পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা হলে এতদিন নোটিশ করা হত

এরই মধ্যে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। উক্ত শিক্ষার্থী উপজেলার ৪নং ফেরধোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। গত ১৭ তারিখ শুক্রবার ওই শিক্ষার্থী কারোনায় আক্রান্ত হয়। সেই ছাত্রীর বয়স ০৮ বছর।

বিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার পর যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা হল। তার শ্রেণি তৃতীয় এর পাঠদান কার্যক্রম ১৪ দিনের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে সেখানকার উপজেলা শিক্ষা অফিস।

বিদ্যালয়টিতে সশরীরে পরিদর্শন শেষে তথ্য সংগ্রহকারী জানান, তার আক্রান্ত হওয়ার খবরেও এ বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা আতঙ্কিত নয়। এমনটা দাবিও উক্ত বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সোহেলী পারভীন পান্নার।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানান, আমরা ১২ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয় খোলার প্রথম দিন  ছাত্রী বিদ্যালয়ে এসেছিল এবং সেদিন তার মধ্যে করোনার কোনো উপসর্গ লক্ষ করা যায়নি। এরপর সে বাড়িতে যাওয়ার পর জ্বরে আক্রান্ত হয়। ১৬ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার তার নমুনা পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দেওয়া হলে ১৭ সেপ্টেম্বরে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। জানাগেয় ওই ছাত্রীর মাও করোনায় আক্রান্ত। তিনি জানান, আমার ধারণা, সে তার পরিবার থেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।

শিক্ষিকা আরো বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের আরো তিন জন শিক্ষার্থী জ্বরে আক্রান্ত। যারা বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছে। তবে এই চার শিক্ষার্থীই বর্তমানে সুস্থ রয়েছে।

উল্লেখ্য, বিদ্যালয়টির উপস্থিতির হার সন্তোষজনক। এছাড়া কয়েজন অভিভাবকের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা এবিষয় তেমনভাবে আমলে নিচ্ছেন না। তারা চায় ফের যেন তাদের শিশুর বিদ্যালয়টি বন্ধ না হয়।

READ MORE  রমজানে প্রাথমিকের সঙ্গে বন্ধ হতে পারে স্কুল-কলেজ

এছাড়া এবিষয়ে কোটালীপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অরুণ কুমার ঢালী বলেন, তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর আমরা ওই বিদ্যালয়টির তৃতীয় শ্রেণির পাঠদান ১৪ দিনের জন্য বন্ধ রেখেছি এবং তার সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুশান্ত বৈদ্য বলেন, আক্রান্ত শিক্ষার্থী বর্তমানে সুস্থ আছে এবং তাকে করোনার চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সে হোম আইসোলেশনে আছে।

সেখানকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, এই উপজেলার প্রতিটি বিদ্যালয়েই স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিদিন শ্রেণি কার্যক্রম চলছে। এছাড়া আমরা এসব বিদ্যালয় প্রতিনিয়ত মনিটরিং করছি। প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। এরপরও কোনো শিক্ষার্থীর করোনার উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে তার নমুনা পরীক্ষা করা হবে। আর রিপোর্ট পজিটিভ এলে আমরা ওই শ্রেণি বা বিদ্যালয় বন্ধ করে দেব। -ডিবি আর আর।

Leave a Comment