বিদ্যালয় খুললেও অনলাইন ক্লাসের বিশেষ নির্দেশনা প্রাথমিক অধিদপ্তরের

প্রাথমিক

বিদ্যালয় প্রতিবেদন :: কোভিড-১৯ পরিস্থিতির মধ্যেও যেহেতু বিদ্যালয় খুলেছে। সেকারণে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সতর্ক অবস্থানে থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়মিত নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে।

আরও খবরঃ অনলাইনে ক্লাস করা ২১ হাজার শিক্ষক ভাতা পাচ্ছেন

শিক্ষকদের অনলাইন বদলী ও প্রাথমিকের সমাপনী পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত

প্রাথমিক শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতার তালিকা প্রকাশ : আপত্তি জানাতে হবে যেভাবে

এবার পূণরায় বিদ্যালয় খুললেও প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার কম দেখা যাচ্ছে। সেকারণেই শিক্ষার্থী উপস্থিতি বাড়ানো ও শিখন ঘাটতি পূরণে শিক্ষকদের জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করেছে অধিদপ্তর। যা নিম্নে উল্লেখ্য।

নির্দেশনা সমুহ হলঃ

১# বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের তথ্য রেজিস্ট্রারে সংরক্ষণ করতে হবে। তাতে শিক্ষার্থীর নাম, শ্রেণি রোল, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, কী কারণে অনুপস্থিত, গৃহীত পদক্ষেপসহ অন্যান্য বিষয় উল্লেখ থাকতে হবে।

২# বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করতে হবে শিক্ষকদের। এছাড়া প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণে হোম ভিজিট করতে হবে শিক্ষকদের।

৩#  সব বিদ্যালয়কে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির শ্রেণিভিত্তিক হার নিয়মিতভাবে সংরক্ষণ করতে হবে এবং ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিতির ঘাটতি বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

৪# করোনার প্রভাবে শিখন ঘাটতি পূরণে শ্রেণিভিত্তিক শিক্ষার্থীদের পারঙ্গমতা যাচাই করে বিভিন্ন দলে ভাগ করতে হবে এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড নির্দেশিত পাঠ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে শ্রেণিশিক্ষক ও বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকদের।

৫# বিদ্যালয় ভিত্তিক অনলাইন ক্লাস চালু রাখতে হবে। এছাড়া সংসদ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সম্প্রচারিত ‘ঘরে বসে শিখি’র পাঠদান কার্যক্রমে ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেওয়ার নির্দেশনা দিতে হবে শিক্ষার্থীদের।

৬# সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিষয় শিক্ষক ও শ্রেণি শিক্ষকদের শ্রেণিভিত্তিক প্রতিটি শিশুর শিখন যোগ্যতার প্রোফাইল ’শিখন ঘাটতি পরিস্থিতি’ প্রণয়ন করে এ সম্পর্কিত অগ্রগতির রেকর্ড ও সংরক্ষণ করতে হবে।

৭# প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর ধারাবাহিক মূল্যায়নে শ্রেণির কাজ, বাড়ির কাজ বা ওয়ার্ক শিট যাচাইকরণে একই শ্রেণির শিক্ষার্থীর ঘাটতি নিরূপণে শিক্ষকদের সকলের উদ্যোগ নিতে হবে।

READ MORE  কত শতাংশ প্রাথমিক শিক্ষক টিকার আওতায় : যারা নেননি তাদের সমস্যা

৮# প্রধান শিক্ষক, শ্রেণি শিক্ষক, বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক এবং কর্মচারীদের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্বারোপ করে সকলের প্রতি সহনশীল ও মানবিক আচরণ করতে হবে।

৯# প্রত্যেক বিদ্যালয়ে প্রতিদিন ২টি শ্রেণির পাঠদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। রুটিন অনুযায়ী যেসব শিক্ষকের পাঠদান কার্যক্রম থাকবে না তারা বিদ্যালয়ে বসে অবশিষ্ট ৩টি শ্রেণির জন্য গুগল মিট-এ (যেখানে সম্ভব) পাঠ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

১০# এছাড়া মাঠপর্যায়ের প্রত্যেক মেন্টরকে পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ থেকে প্রেরিত মেন্টরিং গাইডলাইন’ মেন্টরদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সংক্রান্ত’ ও মেন্টরিং টুলস অনুসরণ করে নিজ-নিজ দায়িত্ব পালনে সচেতন হতে হবে।

১১# সর্বপরি সব ক্ষেত্রে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে প্রাথমিক বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের।

উল্লেখ্য, ২১ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনা জারি করা হয়।

এছাড়া এই নতুন নির্দেশনা ঠিকমত বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তা দেখভাল করতে আলাদা এক আদেশে সকল বিভাগীয় উপপরিচালক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা ও থানা শিক্ষা অফিসারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। -ডিবি আর আর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *