বছরের পর বছর শিক্ষকরা অধিকার বঞ্চিত থাকবেন কেন?

দৈনিক বিদ্যালয় :: অনেক দেশে শিক্ষক যোগ্যতা নিয়েই শিক্ষক হতে হয়। বিএড ডিগ্রি নিয়ে TET বা শিক্ষক যোগ্যতা যাচাই পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়ার পর শিক্ষক হওয়ার চিন্তা করতে হয়। পরীক্ষায় ৫০%-এর কম নম্বর হলে কেহউ শিক্ষক হতে পারেননা। ঐসব দেশে শিক্ষকরা অনেক উচ্চ স্কেলের সুবিধা পাচ্ছেন।

ভারতে HS, BEd, TET হলে জুনিয়র বেসিক প্রাথমিক শিক্ষক, Graduate, BEd, TET হলে সিনিয়র বেসিক প্রাথমিক শিক্ষক, Post Graduate, BEd, TET হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক হতে পারেন এবং কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষকই পিএইচডি ডিগ্রীধারী। ওখানে শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুসারে আর্থিক সুবিধা নির্ধারিত।

বাংলাদেশেও এমন নিয়ম চালু করা হউক। এতে করে যিনি শিক্ষক হবেন, তিনি মানষিক প্রস্তুতি নিয়েই আসবেন। শিক্ষককে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে বিশেষ আর্থিক সুবিধা দিতে হবে। মর্যাদা ও আর্থিক সুবিধা না থাকলে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আসতে উৎসাহী হবেননা। বছরের পর বছর শিক্ষকরা তাদের প্রাপ্য অধিকার বঞ্চিত থেকে মনোকষ্টে ভুগবেন কেন?

বিশেষ করে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকবৃন্দের একাংশ ১৪/১২/১৫ পর্যন্ত প্রাপ্য টাইমস্কেল এখনো পাননি। কিছু সংখ্যক উপজেলায় ২০০৯-এর পেস্কেল অনুসারে ১৪/১২/১৫ পর্যন্ত টাইমস্কেল পাবেন আর কিছু সংখ্যক উপজেলায় পাবেননা, তা মেনে নেয়া যায়না।

আরও খবর: ১৩তম গ্রেডে শিক্ষকরা বেতনের বকেয়া পাবেন, বোনাস ও বাড়িভাড়া পাবেন না

নিয়োগ বিধি সংশোধনের ও টাইমস্কেল বকেয়া দাবি প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের

প্রাথমিক শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতার তালিকা প্রকাশ : আপত্তি জানাতে হবে যেভাবে

প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য সকল কর্মচারীর ন্যায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১৪/১২/১৫ পর্যন্ত প্রাপ্য টাইমস্কেল দ্রুত মঞ্জুর করে সপ্রাবি প্রশিদেরকে প্রাপ্য টাইমস্কেল বঞ্চিত থাকার মনোকষ্ট থেকে রেহাই দেয়া হউক, এ কামনাই করছি। শিক্ষক মর্যাদার জয় হউক!

-জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি, বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক সমিতি।

Leave a Comment