প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় জানালো মন্ত্রণালয়

বিদ্যালয় রিপোর্ট :: দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩২ হাজারের বেশি সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। এমাসের পরিবর্তে শর্ত সাপেক্ষ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এই পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। তারপর ও করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সেই প্রস্তুতি নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এবিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে, প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজনের সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শেষ করা হয়েছে। বাকি যে কাজগুলো আছে, সেগুলো এই নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার পর শেষ করা হবে।

আরও জানাগেছে, জানুয়ারি মাসে পরীক্ষা নেয়ার কথা থাকলেও সেটি এমাসে নেওয়া সম্ভব হবে না। কারণ এই পরীক্ষা নিয়ে একাধিক সভা করা এখনো বাকি রয়েছে এবং নতুন বই বিতরণ কার্যক্রম নিয়ে অধিদপ্তর এবং শিক্ষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। এই বই বিতহরণ কার্যক্রম শেষ হওয়া মাত্রই পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এবিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন ৭ জানুয়ারি, শুক্রবার বলেন, নতুন বই বিতরণের কর্মসূচি চলমান থাকায় চলতি মাসে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব হবে না।

তার ভাষ্যমতে, যদি করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে তবে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। তবে করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেলে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।

আরও পড়ুনঃ সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী সার্বক্ষনিক গাড়ি সুবিধা পায় যারা

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যে নতুন সুখবর

সামঞ্জস্যের অপূর্ণতায় পরিপূর্ণ প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা

উল্লেখ্য,  প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদন করে মোট ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন। হিসাব মতে, প্রতি আসনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে এবার ৪০ জন প্রতিযোগী। এ থেকে মোট ৩২ হাজার ৭৭ জনকে শূন্য পদে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। যাদের থেকে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে ২৫ হাজার ৬৩০ জন এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্য থাকা সহকারী শিক্ষক পদে ৬ হাজার ৯৪৭ জনকে নিয়ােগ দেওয়া হবে বলে পূর্বেই জানা যায়।

READ MORE  সমন্বিত নিয়োগ বিধিতে যে সকল শিক্ষকদের পদোন্নতির বিধান নেই

-ডিবি আর আর।

Leave a Comment