দৈনিক বিদ্যালয় প্রতিবেদন :: ন্যায্যতার ভিত্তিতে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড দেয়ার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করছে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদ।
আরও পড়ুনঃ মহাপরিচালকের আবেগ, বিবেক না আইনে নিয়ন্ত্রিত প্রাথমিক শিক্ষকদের ভাগ্য?
আবারও একাদশ শ্রেণির এসাইনমেন্ট প্রকাশ : ডাউনলোড
অর্ধেক জনবল নিয়ে অফিস চলার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন
২৮ জানুয়ারি, শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়েছে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সমন্বয়ক শিক্ষক নেতা মু. মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষকদের দৃঢ় বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষকদের কখনো হতাশ করবেন না। তিনি বলেন, আমরা শুধু প্রধানমন্ত্রীর কাছে ন্যায্য দাবি উপস্থাপন করছি। এছাড়া তিনি তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর সমীপে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডের যৌক্তিকতা নিয়ে সম শিক্ষাগত যোগ্যতার কয়েকটি চাকরির তুলনামূলক তথ্য তুলে ধরেন।
১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদের সমন্বয়ক, মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক ২য় শ্রেণি সমমান হলেও ১০ম গ্রেড পেতে আমরা প্রাথমিক শিক্ষকবৃন্দ শুধুমাত্র আমলাতান্ত্রিক প্রতিবন্ধকতার শিকার। দেশের প্রাথমিক শিক্ষকরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উন্নত জীবনের স্বল্পদর্শনে উদ্বুদ্ধ করেন অথচ পড়াশুনা শেষ করে শিক্ষকতার মত মহৎ পেশায় নতুন নিয়োগ পাওয়া একজন শিক্ষক ১৩তম গ্রেডে ১১ হাজার টাকা বেতন স্কেলে মোট ১৭ হাজার ৬০০ টাকা পান।
মাসিক এ বেতনে সংকুলান না হয়ে অনেক ক্ষেত্র ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে হতাশা নিয়ে জীবন অতিবাহিত করতে হয়। প্রাথমিক শিক্ষকদের মাসিক এ বেতন দিয়ে উন্নত জীবন সম্ভব নয়। তাই শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিবেচনায় প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডের দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানান সমাবেশের উপস্থিত সকল।
ডিবি আর আর।