স্কুলের পরীক্ষা নিয়ে আসল নতুন নির্দেশনা

দৈনিক বিদ্যালয় ডেস্ক :: বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের ক্ষতি পোষাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারি ছুটি কমছে বলে জানা গেছে। একই সাথে দেশের স্কুলগুলোতে অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। শুধুমাত্র একারণেই কি পরিমাণ শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিত হচ্ছে এখন সে তথ্যও নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সেই সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই বছরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা বের করতে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ক্লাসে কত সংখ্যক শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকছে সে বিষয়েও তথ্য নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন : ১০ম গ্রেডের রায়ে শিক্ষকরা যেভাবে লাভবান হবেন : নথি সহ

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, এ বিষয়ে আগামী সপ্তাহে প্রয়োজনীয় কিছু নির্দেশনা দেয়া হবে এবং পরে সে অনুযায়ী নেওয়া হবে ব্যবস্থা। এর সাথেসাথে বিদ্যালয় গুলোতে অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে বলে জানানো হয়েছে।

এবিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আমিনুল ইসলাম খান সংবাদকর্মীদের বলেন, দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির তথ্য নেওয়া হচ্ছে এবং সপ্তাহে ছয় দিন প্রতিটি বিষয়ে ক্লাস নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। করোনা কালীন সময়ের ক্ষতি পোষাতে অতিরিক্ত ক্লাসের পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে বলে জানান সচিব। এছাড়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার আশা প্রকাশ করেন তিনি।

আরও পড়ুন : ১০ মে এর মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষকদের ১৩ তম গ্রেডে বেতন ফিক্সেশনের নির্দেশ

এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশ্ব ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সের অন্তত ৯৯ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছে এবং ৮৭ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে। একারণেই স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে আর তেমন কোনো ঝুঁকি নেই বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের কারণে বিগত সময়ে বন্ধের প্রায় ১৭ মাস পর গত ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হয়। তারপর পূণরায় করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়লে গত ২২ জানুয়ারি ফের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি আবার আংশিক ক্লাস শুরু হয়। এছাড়া গত ১৫ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

READ MORE  জাতীয় বা জেলা ভিত্তিক গ্রেডেশন লিস্ট হলে প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা কম

যদিও দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনায় থাকা ছুটি বাতিল প্রসঙ্গে শিক্ষকরা মতামত জানাচ্ছেন যে, করোনা কালীন সময়ে অনলাইন ভিত্তিক পাঠদান কার্যক্রম চালু ছিল এবং পূনরায় স্কুল খোলার পরে নিরাময় মূলক শিখন ঘাটতি ক্লাস নেওয়ার ফলে সে ক্ষতি পুষিয়ে যাচ্ছে। এর জন্য পবিত্র রমজান মাসে প্রতিবারের ন্যায় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত ছুটি বাতিল না করতে চাইছেন তারা। এছাড়া রমজানের ছুটি বাতিল না করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছেন শিক্ষকরা।

দৈনিক বিদ্যালয়,আর,আর।

Leave a Comment