দৈনিক বিদ্যালয় :: পবিত্র রমজান মাসের ছুটি পুর্নবহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। প্রাথমিকের শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি, রেজি. এস ১২০৬৮ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
এই ছুটির বিষয়ে গতকাল সংগঠনটির একটি ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। যাতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, শীঘ্রই ছুটির বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর তারা আবেদন করবে।
অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রত্যেক জেলা কমিটি নিজ নিজ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রত্যেক উপজেলা কমিটি নিজ নিজ উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর ছুটির আবেদন জমা দেবেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. শামসুদ্দিন মাসুদ বলেন, ৭১এর পর থেকে রমজান মাসে কখনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস চালু ছিলো না। তিনি আরও বলেন, মাঝে একবার রমজানে দুই থেকে তিনদিন ক্লাস হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সেটি পুনরায় বন্ধ করা হয়। শিক্ষক নেতার ভাষ্য অনুযায়ী প্রাথমিকের শিক্ষকরা অন্যান্যা সরকারি চাকুরিজীবীদের থেকে কম ছুটি ভোগ করে থাকেন। অন্যান্য বিভাগে সাপ্তাহিক বন্ধ থাকে দুইদিন। সেখানে আমরা শুধুমাত্র শুক্রবার ছুটি পেয়ে থাকি। এছাড়াও জাতীয় দিবসগুলোতেও আমাদের বিদ্যালয়ে আসতে হয়।
শামসুদ্দিন মাসুদ আরও বলেন, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সারাদিনে হয়তো একটি ক্লাস নেন। কিন্তু আমাদের একজন শিক্ষককে সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অনেকগুলো ক্লাস নিতে হয়। আনাদের শিক্ষার্থীদের বারবার বুঝাতে হয়। সারাদিনই কথা বলতে হয়। এছাড়া অনেক বিদ্যালয়ে শিক্ষক আছেন মাত্র দুই থেকে তিনজন। তাহলে তারা কিভাবে রমজান মাসে ক্লাস নেবেন?
এছাড়া সহকারী শিক্ষক নেতা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি বন্ধ। অনেক শিক্ষককে নিজের বাড়ি থেকে অনেক দূরে গিয়ে ক্লাস নিতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে এটি ২০/২৫ কিলোমিটার দূরত্বেরও হয়ে যায়। রমজান মাসে এই গরমের মধ্যে একজন শিক্ষকের পক্ষে এভাবে ক্লাস চালিয়ে নেয়া সম্ভব না।
শিখন ঘাটতি পূরণের জন্য এই উদ্যোগ নেয়া হলেও এটি কতটুকু ফলপ্রসূ হবে সেটি নিয়ে সন্দিহান তিনি। ছুটি পুর্নবহাল রাখার দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে রমজান মাসের পরে আমরা এটি সমন্বয় করে নেবো।
আরও পড়ুন: স্কুলের পরীক্ষা নিয়ে আসল নতুন নির্দেশনা
এখানে বিশেষ উল্লেখ্য, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে করোনাকালীন শিখন ঘাটতি পূরণের জন্য ২০ রমজান পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করে। দৈনিক বিদ্যালয়, আর-আর।