দালাল ছাড়া সহজে পাসপোর্ট করার নিয়ম

আরব আমিরাত

পাসপোর্ট করার উপায় : কোথায় করবেন, কি লাগবে বিদেশ ভ্রমণে প্রথমে যে জিনিসটা প্রয়োজন তা হল “পাসপোর্ট”। এই পাসপোর্ট করার প্রক্রিয়া অনেকের কাছে বেশ জটিল মনে হলেও আসলে এত জটিল কিছু নয়। দেশে ই-পাসপোর্ট চালুর কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত চালু হয়নি। তাই প্রচলিত এমআরপি MRP (Machine Readable Passport) পাসপোর্টই সবার জন্য প্রযোজ্য। আর আজকের এই আর্টিকেল তাদের জন্য যারা প্রথম পাসপোর্ট করতে চাচ্ছেন।

পাসপোর্ট করার ধাপসমূহঃ পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে কয়েকটি ধাপ আছে যা ক্রমান্বয়ে নিচে দেওয়া হল-

১) পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়া
২) প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট রেডি করা
৩) পাসপোর্ট আবেদন ফর্ম পূরণ
৪) পাসপোর্ট ফর্ম ও সংশ্লিষ্ট কাগজ সত্যায়িত করা
৫) আবেদন ফর্ম পাসপোর্ট অফিসে জমা দেওয়া
৬) পাসপোর্ট টোকেন সংগ্রহ ও পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করা
৭) পুলিশ ভেরিফিকেশন
৮) পাসপোর্ট সংগ্রহ করা

১. পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়া

পাসপোর্টের প্রথম কাজ শুরু হয় পাসপোর্টের ফি জমা দেওয়ার মাধ্যমে। পাসপোর্টের ফি দুই ভাবে জমা দেওয়া যায়। আপনি যদি পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আবেদন করতে চান তাহলে ফি জমা দিতে হবে ব্যাংকে। যদি আপনি সরাসরি অনলাইনে আবেদন করেন তাহলে অনলাইনে আবেদন পক্রিয়া শেষে সেখান থেকেই পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার অপশন আছে। পাসপোর্ট ফি বা খরচ কত তা নির্ভর করে কতদিনের ভিতর আপনি পাসপোর্ট পেতে চান তার উপর। MRP পাসপোর্ট পাওয়ার জন্যে দুই ধরণের সুযোগ আছে। একটা হচ্ছে সাধারণ পাসপোর্ট যা পেতে আপনাকে কমপক্ষে ২১ দিন অপেক্ষা করতে হবে (সর্বমোট ৩৪৫০ টাকা ফি) এবং আরেকটি হচ্ছে জরুরী পাসপোর্ট যা আপনি ৭ দিন পর পাবেন (সর্বমোট ৬,৯০০ টাকা ফি)। আপনি কোন ধরণের পাসপোর্ট পেতে চান সেই মত আপনাকে পাসপোর্ট ফি জমা দিতে হবে।

১.১ ব্যাংকে ফি জমা দেওয়া
অফলাইনের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট অফিসের দ্বারা নির্ধারিত ব্যাংকে গিয়ে টাকা জমা দিতে হবে। ব্যাংকে গিয়ে পাসপোর্টের টাকা জমা দিবেন এটা বললেই আপনাকে একটি নির্দিষ্ট স্লিপ দিবে। স্লিপে প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করে স্লিপ সহ টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হবে। টাকা জমা হবার পর একটি রশিদ পাবেন যার দুইটি পার্ট থাকে। এক পার্ট কাস্টমার কপি যা নিজের কাছে থাকবে আর আরেক পার্ট পাসপোর্ট অফিসের কপি যা পাসপোর্ট আবেদন ফর্মের উপর আঠা দিয়ে লাগাতে হবে।

এখানে কিছু বিষয় খেয়াল রাখবেন –

যে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে পাসপোর্ট করাবেন সে এলাকার ব্যাংকের শাখায় টাকা জমা দেওয়া ভালো।
স্লিপে যেভাবে নাম লিখবেন পাসপোর্টেও সেই একই নাম হবে তা না হলে পেমেন্ট ভেরিফিকেশনে ঝামেলা হবে।
টাকা জমা দেওয়ার ৬ মাসের মধ্যে অবশ্যই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে তা না হলে ৬ মাস পার হলে আবার নতুন করে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হবে।

মানি রিসিটের ট্রানজেকশন নাম্বারটি কোথাও টুকে রাখুন এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। রিসিটে কিছু নির্দেশনা দেওয়া থাকে যা পরবর্তীতে পাসপোর্টের ফর্মের জন্য কাজে লাগবে তাই রিসিটের নির্দেশনা গুলো ভালো ভাবে পড়বেন।
আর যে যে ব্যাংকে পাসপোর্ট করার টাকা জমা দিতে পারবেন তা হল-

সোনালি ব্যাংক
প্রিমিয়ার ব্যাংক
ব্যাংক এশিয়া
ট্রাস্ট ওয়ান ব্যাংক
ঢাকা ব্যাংক
ওয়ান এশিয়া
তবে সোনালি ব্যাংকের ক্ষেত্রে, শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু শাখাতেই পাসপোর্ট ফি জমা দিতে পারবেন। পাসপোর্ট অফিস থেকেই এই ব্যাপারে জানতে পারবেন। আর অন্যান্য ব্যাংকের যেকোনো শাখায় টাকা জমা দিতে পারবেন।

১.২ অনলাইনে আবেদন শেষে ফি জমা দেওয়া

অনলাইনে পাসপোর্টের ফি জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে, www.passport.gov.bd এর সাইটে সঠিক তথ্য দিয়ে ফর্ম পূরণ করে শেষের দিকে বিভিন্ন ব্যাংকের গেটওয়ের মাধ্যমে (যেমন ব্যাংকের কার্ড, বিকাশ বা রকেটের মাধ্যমে) পেমেন্ট করতে পারবেন। আর খুব সামান্য কিছু চার্জ ব্যাংক তাদের ফি হিসেবে ( ৩-৫ টাকা) কেটে রাখে। এই ক্ষেত্রে টাকা পে করার পর একটি চালান ফর্ম পাবেন। এই ফর্মটি এক পেজে দুইটা প্রিন্ট করে একটা নিজের জন্য ও অন্যটা পাসপোর্ট ফর্মের জন্য ব্যবহার করবেন।
অনলাইন পাসপোর্ট পূরণ

READ MORE  সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসীদের এনআইডি কার্ড দেয়া শুরু

২. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট রেডি করা

পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে দরকারী বিষয় হল প্রয়োজনীয় কাগজ রেডি করা। অনেক সময় পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার পর দেখা যায় সব ডকুমেন্ট ঠিকভাবে রেডি করা নেই সেই ক্ষেত্রে বাড়তি অনেক ঝামেলা হয় আর পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতেও দেরি হয়ে যায়। তাই পাসপোর্টের ফি জমা দেওয়ার আগেই সব ডকুমেন্ট ঠিকমতো আছে কিনা তা চেক করে দেখা উচিত। যে সব ডকুমেন্ট লাগবে পাসপোর্ট করার জন্য-

পাসপোর্ট ফর্ম ২ কপি (তবে সরকারী চাকরিজীবী ও তাদের স্ত্রী বা স্বামী এবং ১৫ বছরের কম বয়সী সন্তানদের ক্ষেত্রে একটি ফর্ম)
সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি ন্যাশনাল আইডি কার্ড (NID) বা স্মার্ট কার্ডের ফটোকপির সত্যায়িত কপি। তবে যাদের NID কার্ড নেই বা ১৮ বছরের নিচে বয়স তাদের জন্য জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপির সত্যায়িত ফটোকপি। তবে বর্তমানে ১৮ বছর হলে অবশ্যই NID কার্ড লাগবে।

পেশাগত সার্টিফিকেটের ফটোকপির সত্যায়িত কপি। সরকারী চাকরিজীবী ও তাদের স্ত্রী বা স্বামী এবং সন্তানদের ক্ষেত্রে চাকরিজীবী ব্যাক্তির কর্মস্থল থেকে ইস্যু করা NOC (No Objection Certificate) বা জিও GO ( Govt. Order) জমা দিতে হবে।

৩. পাসপোর্ট আবেদন ফর্ম পূরণ

দুই ভাবে পাসপোর্টের আবেদন ফর্ম পূরণ করতে পারবেন। পাসপোর্ট ফর্ম ডাউনলোড বা সংগ্রহ করে নিজে নিজে হাতে পূরণ করে। অথবা অনলাইনে তথ্য পূরণ করে।

৩.১ অফলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ

এই ক্ষেত্রে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে পাসপোর্টের ফর্ম চাইলে অফিস থেকে তা বিনামুল্যে দিয়ে দিবে, আবার www.passport.gov.bd এই লিঙ্কের Download Form অপশনে গিয়ে DIP Form 1 ফর্ম ওপেন করে PDF ফরম্যাটে ফর্ম ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিন।

পাসপোর্ট ফর্ম হাতে লিখে ফর্ম ফিল আপ করার সময় খুব সাবধানে করবেন তাই কয়েক কপি ফটোকপি করে রাখলে ভালো তাতে লেখার সময় কাটাকাটি হলেও সমস্যা নেই। আর সব জায়গায় নিজের সাইন একই রকম দিবেন। এরপর সবার শেষে পেমেন্ট ইনফরমেশন এর জন্যে যে ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া হয়েছে তার ব্রাঞ্চ (ব্রাঞ্চ না পেলে সেন্ট্রাল ব্রাঞ্চ দিতে হবে) ও জমা রিসিট নাম্বার দিতে হবে।

৩.২ অনলাইনে ফর্ম পূরণ

www.passport.gov.bd এই সাইটে গিয়ে এগ্রিমেন্ট বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Continue To Online Enrollment এ ক্লিক করলে ফর্ম পূরণের পেজ চলে আসবে। এই ক্ষেত্রে সব তথ্য বারবার চেক করবেন আর নির্ভুল যেন হয় সেই ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন। অনলাইনে পূরণের ক্ষেত্রে ফি অনলাইনেই জমা দিতে পারবেন অথবা যদি অনলাইনে ফি জমা না দিতে চান তাহলে অফলাইন অপশন সিলেক্ট করে পূরণকৃত ফর্ম ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।

ইউটিউবে এই বিষয়ে অনেক ভিডিও পাবেন আর সবচেয়ে ভালো হয় অনলাইনে পাসপোর্ট করছে এমন অভিজ্ঞ কাউকে সাথে নিয়ে ফিল আপ করলে। তবে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই সাথে কেউ না থাকলেও নিজে নিজেও এই কাজ সহজেই করতে পারবেন তবে সাবধানে করতে হবে।

নোটঃ
সরাসরি পাসপোর্টের ফর্ম পাবেন আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে। তবে পাসপোর্ট অফিসে অনেক সময় ফর্ম শেষ হয়ে যায় সেই ক্ষেত্রে পাশের ফটোকপির দোকানেও ফর্মের ফটোকপি পাবেন যা দিয়ে ফর্ম পূরণ করতে পারবেন।অনলাইনে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে পারেন DIP Form 1 এই লিংক থেকে।

READ MORE  প্রধান দুই দেশ থেকে কমছে রেমিট্যান্স

যেভাবেই পাসপোর্ট পূরণ করেন অবশ্যই ভাল মত তথ্য যাচাই, বানান ঠিকমতো দেওয়া, সঠিক তথ্য দেওয়া এই ব্যাপার গুলো খেয়াল রাখবেন। কোন কিছু ভুল হলে আপনাকে এই জন্যে ঝামেলা পোহাতে হবে।

৪. পাসপোর্ট ফর্ম ও সংশ্লিষ্ট কাগজ সত্যায়িত করা

ফর্ম ফিল আপ শেষ হলে পুরো ফর্মটি দুই সেট প্রিন্ট করে নিবেন। এক কপি পাসপোর্ট অফিসের জন্য ও আরেক সেট SB OFFICE এ পাঠানো হবে। ফর্ম প্রিন্ট হলে ফর্মের ছবির জায়গায় পাসপোর্ট সাইজের একটি সদ্য তোলা ছবি লাগাতে হবে। আর দুই কপি ফর্মের যেকোনো একটাতে ব্যাংকের রশিদের পাসপোর্ট অফিসের কপিটা কেটে ডান পাশে লাগাতে হবে।

পাসপোর্টের ফর্ম পূরণ করে, ছবি ও মানি রিসিট লাগিয়ে ফর্মের সাথে জন্ম নিবন্ধন বা ন্যাশনাল আইডি কার্ড, পেশাগত সার্টিফিকেট ও নাগরিক সনদের (এই সনদের ব্যাপারে কোথাও নির্দিষ্ট করে বলা নেই তবে অনেক সময়ই এই সনদ দেখতে চায়) ফটোকপির সত্যায়িত কপি পিন দিয়ে লাগিয়ে নিতে হবে।

৫. পাসপোর্ট অফিসে ফর্ম জমা দেওয়া

এই ক্ষেত্রে ফর্ম হাতে পূরণ করলে নিজের বর্তমান ঠিকানা সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে হলে রিজিওনাল অফিস আর সিটি কর্পোরেশনের বাইরে হলে আঞ্ছলিক অফিসে জমা দিতে হবে। আর অনলাইনে জমা দিলে ফর্মেই লেখা থাকবে কোন অফিসে জমা দিতে হবে।

সরাসরি ফর্ম জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে, ফর্ম প্রথমে জমা নিয়ে কম্পিউটার সফট ওয়্যারে ফর্মের তথ্য গুলো নিবে তারপর ফর্মে সিল মেরে আবার ফর্ম আপনাকে ফেরত দেওয়া হবে। তারপর ছবি তোলা ও বায়োমেট্রিকের জন্য আঙ্গুলের ছাপ নেওয়ার জন্য ফর্ম নিয়ে অন্য একটি রুমে যেতে হবে। এখানে বেশ কয়েকটি ধাপ আছে।

সব প্রক্রিয়া শেষ হতে মোটামুটি বেশ সময় লাগে। এছাড়া জমা দেওয়ার সিরিয়াল যদি দীর্ঘ হয় তাহলে সময় আরও বেশি লাগবে। তাই জমা দিতে গেলে সকাল সকাল চলে যাওয়া ভালো।

৬. পাসপোর্ট টোকেন সংগ্রহ ও স্ট্যাটাস চেক করা

ফর্ম জমা দেওয়া শেষ হলে কম্পিউটারে প্রিন্ট করা একটি টোকেন দেওয়া হবে যেখানে আপনার তথ্য, পাসপোর্ট ডেলিভারির সময়সহ অন্যান্য কিছু তথ্য থাকবে। এই টোকেনের তথ্য গুলো খুব ভালো ভাবে চেক করবেন কারন এই তথ্য অনুসারেই পাসপোর্ট প্রিন্ট করা হবে।

কোনও ভুল ধরা পড়লে তখনই সাথে সাথে জানাবেন তাহলে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর টোকেনটি যত্ন সহকারে রেখে দিবেন কারণ এই টোকেন দেখিয়েই পরবর্তীতে পাসপোর্ট নিতে হবে।

আর পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করার জন্য www.passport.gov.bd এই সাইটের Application Status অপশনে গিয়ে এনরোলমেন্ট আইডি ও জন্ম তারিখ দিয়ে অনলাইনে পাসপোর্টের স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন। পাসপোর্ট টোকেনে Enrollment ID (EID) দেওয়া থাকে। আর মেসেজ অপশনের ক্ষেত্রে, MRP<SPACE<EID NO লিখে ৬৯৬৯ নাম্বারে সেন্ড করে পাসপোর্টের স্ট্যাটাস জানা যাবে।

পাসপোর্টের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা থাকলে এই স্ট্যাটাস চেক করে আপনি জানতে পারবেন। তবে সব কাজ শেষ হবার পরও পাসপোর্টের স্ট্যাটাস ঠিকমতো না পেলে কিছুদিন অপেক্ষা করবেন কারন পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্যই মূলত পাসপোর্ট পেতে সময় লাগে বা পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।

৭. পুলিশ ভেরিফিকেশন
ফর্ম জমা হওয়ার কিছু দিন পর পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য পুলিশ বাসায় ও আসতে পারে আবার ফোন করে তাদের অফিসেও আপনাকে যেতে বলতে পারে। এই ক্ষেত্রে পুলিশ বিভিন্ন কাগজ রেডি করে রাখতে বলে যেমন- প্রোপার্টি পেপার, ইউটিলিটি বিল ইত্যাদি।

READ MORE  একটি ভুলের কারণে আপনারাও হয়ে যেতে পারে 3000 দিরহাম পর্যন্ত জরিমানা

৮. পাসপোর্ট সংগ্রহ

সব টিক থাকলে আপনার পাসপোর্টের ধরণ অনুযায়ী ১ সপ্তাহ বা ২০-৩০ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন। পাসপোর্ট রেডি হলে মোবাইলে মেসেজ দিয়ে আপানকে জানানো হবে। অথবা অনলাইনে স্ট্যাটাস চেক করেও জেনে নিতে পারবেন।
পাসপোর্ট করতে খরচ ও সময় পাসপোর্টের ধরণ খরচ কতদিন সময় লাগে সাধারন সর্বমোট খরচ ৩৪৫০ টাকা ২১ দিন সময় লাগে জরুরী সর্বমোট খরচ ৬,৯০০ টাকা ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগে

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
১) সরকারি চাকরিজীবী ও তাদের স্বামী বা স্ত্রী, সন্তান এবং অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তার ক্ষেত্রে সাধারন ফি জমা দিয়েও জরুরী সুবিধা পাওয়া যাবে।

২) সাধারণ পাসপোর্টের ক্ষেত্রে ২১ দিনের ভিতর হয়ে যাবে বলা হলেও অনেক সময় তার চেয়েও বেশীদিন লাগে। জরুরী পাসপোর্টের বেলাতেও দিন অনেক সময় বেশি লাগে।

পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য
অনেকেই মনে করে দালাল ছাড়া বা প্রয়োজনের চেয়ে বাড়তি টাকা না দিলে পাসপোর্ট করা যায় না বা করতে অনেক ঝামেলা হয়, এই কথা পুরোপুরি সঠিক না। বর্তমানে অযৌক্তিক হয়রানি অনেক কমে গিয়েছে আর সরকারিভাবে পাসপোর্টের পুরো প্রক্রিয়াও অনেক সহজ করা হয়েছে আগের চেয়ে। তাই দালালের মাধ্যমে বাড়তি টাকা খরচ না করে নিজেই পাসপোর্টের কাজ গুলো করে নিতে পারবেন।

কোনও মাধ্যম বা কারো সাহায্য ছাড়া নিজে পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে অবশ্যই হাতে সময় নিয়ে পাসপোর্টের কাজ শুরু করবেন। আর তাই জরুরী প্রয়োজনে নিজে না করে অন্য কোনও মাধ্যমের সাহায্য নিয়েই পাসপোর্ট করা ভালো। পাসপোর্টের ফর্ম ফিল আপা করার আগে ও ফিল আপ করার পরে পুরো ফর্মের কয়েক কপি ফটোকপি করে রাখবেন।
পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে সকল ডকুমেন্টের ইনফরমেশন অবশ্যই সঠিক হতে হবে।

নামের বানানের ক্ষেত্রে বিশেষ খেয়াল রাখবেন। এক এক ডকুমেন্টে নামের বানান যেন ভিন্ন ভিন্ন না হয়। বিশেষ করে NID কার্ডের তথ্য গুলো যেন একই থাকে। তা না হলে পাসপোর্ট করার জন্য বাড়তি অনেক ঝামেলা হবে। পাসপোর্ট করার আবেদন পত্র জমা দেওয়ার সময় সব সার্টিফিকেটের মূল কপি সাথে নিয়ে যাবেন।

অনলাইন থেকে পাসপোর্ট ফর্ম ডাউনলোড করে প্রিন্ট করার ক্ষেত্রে দুটো পেজের উভয় দিকেই প্রিন্ট করতে হবে যা হাতে লেখার ফর্মের ফরমেটের মতো হবে বা এই ক্ষেত্রে একটা ফরমেট অনলাইনে দেখে নিতে পারেন।
পাসপোর্ট অফিসে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১.৩০ টা পর্যন্ত পাসপোর্ট ফর্ম জমা নেয়। তবে অবশ্যই আগে আগে যাওয়া ভালো কারন অনেক লম্বা লাইন থাকে।

ফর্মে ছবি ও মানি রিসিট অবশ্যই আঠা দিয়ে লাগাবেন, স্ট্যাপল পিন দিয়ে লাগাবেন না।
ফর্ম জমা নেওয়ার সময় কিছু প্রশ্ন করা হয় যার উত্তর যথেষ্ট আত্নবিশ্বাসের সাথে দেওয়ার চেষ্টা করবেন আর সবসময় সঠিক তথ্য জানাবেন।

ফর্ম জমা দেওয়ার সময় ছবি তোলার জন্য সাদা রঙ বাদে অন্য কোনও রঙের কাপড় পড়বেন। অনেক সময় ফর্ম জমা নেওয়ার সময় অযৌক্তিক প্রশ্ন করে বা ফর্ম কোনও কারন ছাড়াই জমা নিতে চায় না সেই ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কোনও কর্মকর্তাকে বা অফিসের সহকারী পরিচালক এর সাথে কথা বললে সাহায্য পাবেন।

পুলিশ ভেরিফিকেশনে অনেক সময় টাকা চাওয়া হয়, ঝামেলা এড়াতে চাইলে কিছু টাকা দিয়ে দেওয়াই ভালো। যদিও এই টাকা দেওয়াটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যারা নতুন ভাবে পাসপোর্ট করবে শুধু মাত্র তারাই অনলাইনে আবেদন করতে পারবে।
আরও বিশেষ কিছু নির্দেশনা জানার জন্য www.dip.gov.bd ও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গিয়েও খোঁজ নিতে পারেন।
তথ্যসূত্রঃwww.dip.gov.bd

Follow Our Twitter: CLICK HARE



Join telegram Channel : CLICK HARE

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *