বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নেয়ার সুসংবাদ দিল যে দেশ

নিয়োগ

ভারতীয়, ফিলিপিনোদের পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে চায় কুয়েত। দেশটি বিভিন্ন দেশ থেকে আসা জনশক্তির ভারসাম্য রক্ষায় নিচ্ছে নানা পদক্ষেপ। পাশাপাশি দেশটির জনশক্তির বাজার ধরে রাখতে দূতাবাসের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

প্রতিনিয়ত আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে কুয়েত। দেশটিতে নতুন নতুন স্কুল-কলেজ, হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এসব খাতে প্রচুর দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন। আর বর্তমানে দেশটির সরকার দক্ষ জনশক্তিকে প্রাধান্য দিয়ে জনসংখ্যার ভারসাম্য রক্ষা করে বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ দিচ্ছে।

দেশটির পাবলিক অথরিটি ফর সিভিল ইনফরমেশনের তথ্য অনুযায়ি, ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশটির মোট জনসংখ্যা ৪৭ লাখ ৩৬ হাজার ৭৭৮ জন। যারমধ্যে ৬৮ শতাংশই প্রবাসী, অর্থাৎ ৩২ লক্ষাধিকই প্রবাসী। এই জনসংখ্যার মধ্যে ভারতের ৯ লাখ ৬৫ হাজার ৭৭৪ জন, মিসরের ৬ লাখ ৫৫ হাজার ২৩৪ জন, ফিলিপাইনের ২ লাখ ৭৪ হাজার ৭৭৭ জন এবং বাংলাদেশের ২ লাখ ৫৬ হাজার ৮৪৯ জন প্রবাসী।

কুয়েতের বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে বাংলাদেশিসহ ভারতীয় এবং ফিলিপিনো নার্সদের নতুন ব্যাচ গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এরইমধ্যে বাংলাদেশ থেকে সাড়ে ৬০০ বাংলাদেশি নার্স কুয়েতের বিভিন্ন হাসপাতালে সেবা দিয়ে সুনাম কুড়িয়েছেন।

কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান সময় সংবাদকে বলেন, ‘কুয়েতে বর্তমানে অনেক দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন। বাংলাদেশ দূতাবাসও কুয়েতের শ্রমবাজারে নতুন করে বাংলাদেশ থেকে আরও জনশক্তি নিয়োগের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।’

গত বছর বিভিন্ন খাতে ২২ হাজার জনশক্তি বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে এসেছে। যেখানে সাধারণ শ্রমিক ছাড়াও দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। সম্প্রতি দেশটির সংবাদমাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু খাতে শ্রমিক সংকট মেটাতে ভারসাম্য রক্ষা করে কুয়েতে যেসব দেশের শ্রমিকের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, সেসব দেশ ছাড়া অন্য নতুন দেশ থেকে শ্রমিক নেয়ার চিন্তা করছে। কুয়েতের ‘জনসংখ্যার ভারসাম্যহীনতার সমস্যা’ মোকাবিলার প্রচেষ্টা হিসেবে এই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *