বিমানবন্দর থেকে প্রবাসীদের টার্গেট করত চক্রটি

আরব আমিরাত

বিদেশ থেকে আসা প্রবাসীদের টার্গেট করে বিমানবন্দর থেকেই প্রবাসীর পিছু নিত চক্রটি। পথে ঢাকা-মাওয়া সড়কে সুযোগ বুঝে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি করত। শেষ পর্যন্ত ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রবাসীর সঙ্গে থাকা সব মালামাল লুট ও ছিনতাই করে নিত।

এভাবে একটি চক্র দীর্ঘদিন প্রবাসীদের মালামাল ছিনতাই করে আসছিল। গেল বছরে এই চক্রের খপ্পরে পড়ে দুই প্রবাসী তাদের সর্বস্ব হারান। তবে তারা বিষয়টি জানিয়ে কেরানীগঞ্জ থানায় দুটি মামলা করেন। সেই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ এসব তথ্য জানতে পারে। সেই চক্রটির চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন ডাকাত সর্দার সুমন মিয়া (২৫), মোস্তফা (৩২), মো. আলামিন (২৫) ও শারমিন আক্তার (৩৩)।

দুটি মামলার তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর রামপুরা বউবাজার, বরিশালের কোতোয়ালিসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক নারীসহ চার ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতি করে নেওয়া স্বর্ণালংকার ও মালেশিয়ান মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার (২৩ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোবাশ্বিরা হাবিব খান।

পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গত ৫ মার্চ রাত দেড়টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে থেকে সৌদি প্রবাসী সুমন মিয়া তার বোন, ভাগিনাদের নিয়ে ফরিদপুর যাওয়ার পথে ডাকাতরা তাদের গাড়ি থামিয়ে ডিবি পরিচয় দিয়ে পথরোধ করে।

পরে তল্লাশির নামে বিদেশ থেকে আনা মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। একই কায়দায় ২০২২ সালের ২ নভেম্বর রাত ৪টার দিকে ফরিদপুরের দেলোয়ার মাতব্বর তার মালেয়শিয়া প্রবাসী ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে একইভাবে ডিবি পরিচয়ে গাড়ি থামিয়ে ডাকাতি করে।

পুলিশ জানায়, দুটি ঘটনায়ই দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন ভুক্তভোগী প্রবাসীরা। এরই ধারাবাহিকতায় চক্রটিকে ধরতে মাঠে নামে ঢাকা জেলা পুলিশ। পুলিশ আরও বলছে, চক্রটি ময়মনসিংহ, বরিশাল, বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢাকা আসে।

READ MORE  প্রবাসীদের জন্য নতুন চাকরির সুযোগ

এরপর বিমানবন্দরে বসে বিদেশ ফেরত যাত্রীদের বহনকারী গাড়ি টার্গেট করে। সেই গাড়ির পিছু নিয়ে ঢাকা-মাওয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্জন এলাকায় ডিবি পরিচয়ে অবৈধ মালামাল রয়েছে এমন তথ্যের কথা বলে ডাকাতি করে। ডাকাতি শেষে নিজ নিজ জেলায় গিয়ে আত্মগোপন করে। মোবাইলসহ সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

মোবাশ্বিরা হাবিব আরও জানান, গ্রেফতারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা ডাকাতিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে পুলিশকে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি করে আসছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *