দুবাইয়ের আরেক চমক, রেকর্ড গড়তে চলেছে বিশ্বের বৃহত্তম রেসিডেন্সিয়াল টাওয়ার ‘হাবতুর’

আরব আমিরাত

কয়েক বছরের মধ্যেই আরও একটা রেকর্ড গড়তে চলেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্য নগরী দুবাই। কারণ এখানে তৈরি হতে চলেছে পৃথিবীর বৃহত্তম রেসিডেন্সিয়াল টাওয়ার।

নানা ক্ষেত্রেই বারবার রেকর্ড গড়েছে দুবাই। বুর্জ খলিফা হল সেখানকার উচ্চতম টাওয়ার। আর কয়েক বছরের মধ্যেই আরও একটা রেকর্ড গড়তে চলেছে দুবাই। কারণ এখানে তৈরি হতে চলেছে বিশ্বের বৃহত্তম রেসিডেন্সিয়াল টাওয়ার।

সম্প্রতি এই ‘হাবতুর টাওয়ার’ চালু করার কথা ঘোষণা করেছে আল হাবতুর গ্রুপ। এই টাওয়ার তৈরি হতে চলেছে দুবাই ওয়াটার ক্যানালের তীরবর্তী শেখ জায়েদ রোডের মতো এলাকায়। এই টাওয়ারটি বুর্জ খলিফাকেও ছাপিয়ে যাবে বলে জানা যাচ্ছে।

এই গ্রুপের তরফে জানানো হয়েছে যে, বিশ্বের বৃহত্তম এই রেসিডেন্সিয়াল টাওয়ারের বিল্ট-আপ এরিয়া হবে ৩৫১৭৩১৩ বর্গ ফুট। এই টাওয়ারটি হবে ৮১-তলা (জি+৭+৭৩)। ৩৬ মাসের মধ্যেই এটি নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে যাবে।

এই টাওয়ারে থাকতে চলেছে বিভিন্ন রকম অ্যাপার্টমেন্ট। মূলত এক, দুই অথবা তিন বেডরুম বিশিষ্ট অ্যাপার্টমেন্ট রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে আল হাবতুর গ্রুপ। আর সবথেকে বড় কথা হল এই অ্যাপার্টমেন্টগুলি থেকে স্পষ্ট ভাবে দেখা যাবে গোটা দুবাই শহর, মরুভূমি এবং আরব উপসাগর।

সেই সঙ্গে ওই নির্মাণ সংস্থার দাবি, হাবতুর টাওয়ারের নির্মাণ প্রক্রিয়ার কিছু ফিচার সমগ্র সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতেই এই প্রথম বারের জন্য হতে চলেছে। তারা আরও জানিয়েছে যে, এটা বানানোর জন্য ৮০ মিটার গভীর ব্যারেট (ডিপ পাইলিং ফাউন্ডেশন সিস্টেম)-এর সঙ্গে ১৫ মিটার উঁচু স্টিল কলাম নিমজ্জিত করা হয়েছে।

এর ফলে সুপার স্ট্রাকচার কনস্ট্রাকশন শুরু করা যাবে। যা নির্মাণের সময় অনেকটাই বাঁচিয়ে দেবে। একটি কলাম-একটি ব্যারেটের প্রায় ২২০০০ টন পর্যন্ত ধারণ ক্ষমতা থাকবে। এই স্ট্রাকচারাল ব্যবস্থা দুবাইয়ে প্রথম বারের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। যা আল হাবতুর গ্রুপের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৈরি করছে স্থানীয় ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম।

READ MORE  প্রবাসে এনআইডি সেবা: আরব আমিরাতে যে স্থানে শুরু হচ্ছে বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ

এখানেই শেষ নয়, আল হাবতুর গ্রুপের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, নির্মাণ কাজের জন্য তারা এই ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ মানের স্টিল ব্যবহার করছে। যা গোটা সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে প্রথম বার করা হতে চলেছে। এর ফলে স্টিল রিইনফোর্সমেন্ট বার ব্যবহারের পরিমাণ তো কমবেই, সেই সঙ্গে কার্বন নির্গমনের মাত্রাও হ্রাস পাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *