১৪ নভেম্বরের পরে কী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহ খুলবে

ডিবি ডেস্ক রিপোর্ট : ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। এ পর্যন্ত কয়েক দফায় ছুটি বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটি বৃদ্ধি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমুহে এসাইনমেন্ট ভিত্তিক মূল্যায়ন করার জন্য জোর তাগিদ চলছে। অন্যদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয় সমুহে এবার শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা হবে না বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সর্বশেষ খবর হল আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সমুব খোলার চিন্তাভাবনা করছে সরকার।

সে লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকের মৌলিক
সক্ষমতা তৈরির জন্য ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরির কাজ শুরু করেছে ন্যাশনাল একাডেমি ফর প্রাইমারি এডুকেশন বা নেপ।

যদি ১৪ তারিখের পরে বিদ্যালয় খােলা যায়, তবে সেই সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করে পরবর্তী শ্রেণিতে প্রমোশন দেওয়া হবে। বিষয়টি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে।

সূত্রে প্রকাশ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৯ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও নতুন করে আরও ১৪ দিন ছুটি বাড়ানােয় সেটি আর সম্ভব হচ্ছে না। এ জন্য নতুন করে ১ মাসের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরির কাজ শুরু
করেছে নেপ। প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা তৈরিতে এ সিলেবাসটি তৈরি করা হচ্ছে। আগামী ১৫ নভেম্বর ২০২০ তারিখের মধ্যে শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান খােলা সম্ভব হলে সেটি কার্যকর করে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে তােলা হবে বলে জানা গেছে। আর যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খােলা সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান নিজস্ব পদ্ধতিতে পঞ্চম শ্রেণি সহ সকল শ্রেণী সনদ বিতরণ করবে।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, নেপের মহাপরিচালক মাে. শাহ আলম মঙ্গলবার বলেন, আবার নতুন করে আমরা ১ মাসের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরির কাজ শুরু করেছি। প্রাথমিকের প্রতিটি শ্রেণির সকল বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমুহ যুক্ত করে শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহণের সক্ষমতা তৈরির লক্ষ্যে নতুন করে এ পাঠ্যক্রম তৈরি করা হচ্ছে। এই নতুন পাঠ্যক্রমটি আগামী সপ্তাহে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে পাঠানাে হবে বলে জানা যায়।

READ MORE  প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজির বার্তা

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রাথমি ও গণশিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব জানান, আগামী ১৪ নভেম্বরের পরে প্রাথমিক বিদ্যালয় সমুহ খােলার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে সরকার। সবকিছু অনুকূলে থাকলে এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় খােলা সম্ভব হলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসটি বাস্তবায়ন করে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হবে।

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মাে. জাকির হােসেন জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে যে কদিন সময় পাওয়া যাবে সে ক’দিন পড়িয়ে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করা হবে। তিনি গত বলেন, আমরা একমাস ও ১৫ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খােলা সম্ভব হবে শিক্ষার্থীদের সেটি পড়িয়ে পরবর্তী ক্লাসে নেয়া হবে। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের সকল ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
আমরা পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবাে। অবশ্য আগামী ১৪ নভেম্বরের পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহ খােলার বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনাে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, মো. জাকির হোসেন।

উল্লেখ্য, প্রাথমিক বিদ্যালয় সমুহ খোলা না খোলা অবশ্যই নির্ভর করবে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমুহের উপর।

ডিবি আর আর।

Leave a Comment