বিদ্যালয় খোলা ও পাবলিক পরীক্ষা বিষয়ক অধিদপ্তরের ১২ সুপারিশ

দৈনিক বিদ্যালয় ডেস্ক :: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠা না খোলার সুপারিশ জানিয়েছে দেশের স্বাস্থ্য অধিদফতর। এছাড়া চলমান এই সংক্রমণের দ্রুতগতি রুখতে ১২ দফা সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। যে সুপারিশ গুলোর মধ্যে অন্যতম দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা, যে কোন ধরনের পাবলিক পরীক্ষা বন্ধ রাখা।

অধিদফতর আজ ১৭ই মার্চ বুধবার জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১৮৬৫ জন এবং ২৪ ঘণ্টার এই শনাক্ত গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছে ১১ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এখন পর্যন্ত সরকারি হিসেবে পাঁচ লাখ ৬২৭৫২ জন শনাক্ত হয়েছে।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের কনফারেন্স রুমে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে করোনা প্রতিরোধ ও বর্তমানে করণীয় সম্পর্কে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় যে ১২টি প্রস্তাব গৃহীত হয় তা নিম্নে উল্লেখ করা হল।

১। যদি সম্ভব হয় পুরোপুরি লকডাউনে যেতে হবে, সম্ভব না হলে ইকোনমিক ব্যাল্যান্স রেখে যেকোন ধরনের জনসমাগম বন্ধ করতে হবে।

২। কাঁচা বাজার, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, শপিং মল, মসজিদ, রাজনৈতিক সমাগম, ভোট অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, পবিত্র রমজান মাসের ইফতার মাহফিল ইত্যাদি অনুষ্ঠান সীমিত করতে হবে।

৩। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেগুলো বন্ধ আছে সেগুলো বন্ধ রাখতে হবে। অন্যান্য কার্যক্রম সীমিত রাখতে হবে।

৪। যেকোন ধরনের পাবলিক পরীক্ষা যেমন বিসিএস, এসএসসি, এইচএসসি, মাদ্রাসা, দাখিলসহ অন্যান্য পরীক্ষা বন্ধ রাখতে হবে।

৫। করোনা পজিটিভ রোগীদের আইসোলেশন জোরদার করতে হবে।

৬। এছাড়া যারা করোনা রোগীদের সংস্পর্শে আসবে তাদের কঠোর কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে।

৭। প্রবাস থেকে যারা আসবেন তাদের ১৪ দিনের কঠোর কেয়ারেন্টিনে রাখা এবং এদের কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করতে সামরিক বাহিনীর সহায়তা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

৮। সংশ্লিষ্টদের ঈদের ছুটি কমিয়ে আনা।

৯। স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে আইন প্রয়োগ জোরদার করতে হবে।

READ MORE  প্রাথমিক বিদ্যালয় সমুহে শিক্ষকদের শহীদ দিবস পালন করতে হবে যেভাবে

১০। পোর্ট অব এন্ট্রিতে জনবল বাড়াতে হবে এবং মনিটরিং জোরদার করতে হবে।

১১. সকল ধরনের সভা ভার্চুয়ালি আয়োজন করা।

১২। পর্যটন এলাকায় চলাচল সীমিত করতে হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ই মার্চ থেকে বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। এ হিসাবে ১ বছর সময়কাল ধরে দেশের কওমি মাদ্রাসা বাদে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। বেশ কয়েকটি পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের ঠিক যখন তোড়জোড় চলছে ঠিক তখনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই প্রস্তাব গুলো করল। এখন জাতীয় পরামর্শক কমিটি এই প্রস্তাবে সাড়া দিলে ও প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা ও পাবলিক পরীক্ষা আয়োজন অনিশ্চিয়তার দিকে আরো বেশি এগিয়ে যাবে। যাতে আসলে কারোর হাত নেই কারণ চলছে করোনা মহামারিকাল।

ডিবি আর আর।

Leave a Comment