এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে দুই মত প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাদের

ডিবি ডেস্ক :: করোনার কারণে দীর্ঘ দিন ধরে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের ৪ কোটির বেশি শিক্ষার্থীর ও পরোক্ষভাবে তাদের অভিভাবকরা। এমন অবস্থায় দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালুর বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ বিশিষ্টজনদের। এক্ষেত্রে অনেকে বিশিষ্ট জন বলছেন এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে, অপরপক্ষে কেউ কেউ পোষণ করছেন ভিন্নমত।

২৩ মে, রবিবার বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান-বিআইডিএস আয়োজিত ‘বিআইডিএস ক্রিটিক্যাল কনভারসেশনস ২০২১, কোভিড-১৯: লিঙ্কিং ইকোনোমিক অ্যান্ড হেলথ কনসার্নস’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে শিক্ষা খাতের বিষয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “করোনায় শিক্ষা খাতে বড় ধরনের বৈষম্য তৈরি হয়েছে। এজন্য ক্রম বা রোটেশন করে কিংবা গ্রুপ ভিত্তিক হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই মূহুর্তে খুলে দেওয়া উচিত। 

একই পক্ষে মত প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয় উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের। তিনি বলেন, এ সময়ে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থীর ইন্টারনেট পাওয়ার সুবিধা নেই, অনেকের জন্য ইন্টারনেট খরচ বেশি। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার বিষয়টি এখন ভাবনার প্রয়োজন।

ভিন্ন পক্ষের মত হলঃ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই কর্মসূচির পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী সেই সেমিনারে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হবে না। তিনি আরও বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে অনেক দিক বিবেচনা করতে হবে, শ্রেণিকক্ষ ছোট, করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা থাকবে। সেজন্য তার মতে এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া ঠিক হবে না।

উল্লেখ্য, উক্ত ভার্চুয়াল সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয় উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, গেস্ট অব অনার ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান। প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা ও আনীর চৌধুরী প্রমুখ।

এছাড়া উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, বিআইডিএস’র মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন।

READ MORE  আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ল

আরও পড়ুন : কর্মচারী, কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য : কারোর বেড়েছে ৪২৫০ কারোর ৬২ হাজার

শিক্ষক সহ নিম্ন গ্রেডে চাকুরীজীবীদের বেতন বাড়া : ১০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা

দুটি সমস্যার সমাধান হলে যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে

স্কুল খোলার পর বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হবে শিক্ষা কার্যক্রমে

শিক্ষকদের ৭৫ কোটি টাকার বেশি বকেয়া পড়ে আছে

Leave a Comment