প্রকাশ্যে প্রধান শিক্ষিকাকে মারধর করল দপ্তরি : আটক দপ্তরি

ডিবি ডেস্ক :: ছুটির ভিতরে স্কুলের শ্রেণিকক্ষ খুলে পরিষ্কার করতে বলায় ময়মনসিংহে গফরগাঁওয়ে প্রধান শিক্ষককে মারধর করেছে একই স্কুলের দপ্তরি।

সেই দপ্তরি শুধু মারধর করেই থেমে থাকেনি, সেই অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রধান শিক্ষকের পরিবারের লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালাগালিও করেছে। যে ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন প্রধান শিক্ষক।

ঘটণাটি বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার বারইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।  

এঘটনায় প্রধান শিক্ষকের কান্না জড়িত বিবরণে জানাগেছে, এর আগে সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিলুফা খানম স্কুলে ডাকেন দপ্তরি রাকিবকে। তাকে জমে থাকা ধুলাযুক্ত রুম পরিস্কার করতে বললে রাকিব ক্লাসরুম পরিষ্কার করতে সরাসরি অপারগতা প্রকাশ করে। রাকিব বলে, বন্ধের সময় কোনো রকম কাজ করতে পারবে না। এরপর কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক নিলুফার মাথায় ঘুষি মেরে বসে রাকিব। এসময় রাকিবের ভাই এসেও গালাগালি করে শিক্ষক নিলুফাকে।

উক্ত মারধরের শিকার স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিলুফা খানম বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে হয়তো স্কুল খোলা হতে পারে, সেজন্য আমরা স্কুলের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য তিন শিক্ষক মিলে স্কুলে যাই।

এসময় স্কুল অপরিষ্কার দেখে দপ্তরি রাকিবকে ফোন দিয়ে তাকে আসতে না দেখায়, লোক পাঠিয়ে তাকে আসতে বলি।

এরপর ২ জনের কথোপকথন হয় এমন, যে কোনো সময় শিক্ষা অফিসারেরা স্কুল পরিদর্শনে আসতে পারে। এসে এই অবস্থা দেখলে তোমারও চাকরি যাবে, আমাকেও শোকজ করবে। যা শুনে দপ্তরি বলে, “তর কথাতে কি আমার স্কুল খোলা লাগবো? এই লকডাউনে স্কুল খোলা হয় নাই তাইলে স্কুল পরিষ্কার করবো কেন।”

এঘটনায় শিক্ষক নিলুফা খানম আরও জানান, মূল বিষয় হচ্ছে সে নেশাগ্রস্ত। ঘুম থেকে তুলে আনায় আমার প্রতি সে চড়াও হয়েছে। কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, সে আমার মাথায় ঘুষিসহ মারধর করেছে সবার সামনে। এঘটনার সময় পাগলা থানার এসআই আব্বাস সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনিই আমাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

READ MORE  চার পাঁচজন শিক্ষক একই পদে যেতে চাইলে সফটওয়্যার যাকে মনে করবে অনুমোদন দেবে

এবিষয়ে পাগলা থানার ওসি মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, এ ঘটনার পর স্থানীয় শিক্ষক সমিতির যারা আছেন তারা টিইও এবং এটিইও’র কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। তারা থানায় অভিযোগ দিলে তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

পরবর্তীতে এঘটনায় উক্ত শিক্ষকের পক্ষে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে এবং সেই দপ্তরি রাকিবকে পাগলা থানা পুলিশ আটক করেছে।

এঘটানায় শিক্ষকরা বিস্মিত হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং ঘটনার তদন্ত পূর্বক উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন শিক্ষকরা।

স্কুল পরিষ্কার করতে বলায় প্রধান শিক্ষককে মারলো দপ্তরি!

ডিবি ডেস্ক :: ছুটির ভিতরে স্কুলের শ্রেণিকক্ষ খুলে পরিষ্কার করতে বলায় ময়মনসিংহে গফরগাঁওয়ে প্রধান শিক্ষককে মারধর করেছে একই স্কুলের দপ্তরি।

সেই দপ্তরি শুধু মারধর করেই থেমে থাকেনি, সেই অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রধান শিক্ষকের পরিবারের লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালাগালিও করেছে। যে ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন প্রধান শিক্ষক।

ঘটণাটি বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার বারইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।  

এঘটনায় প্রধান শিক্ষকের কান্না জড়িত বিবরণে জানাগেছে, এর আগে সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিলুফা খানম স্কুলে ডাকেন দপ্তরি রাকিবকে। তাকে জমে থাকা ধুলাযুক্ত রুম পরিস্কার করতে বললে রাকিব ক্লাসরুম পরিষ্কার করতে সরাসরি অপারগতা প্রকাশ করে। রাকিব বলে, বন্ধের সময় কোনো রকম কাজ করতে পারবে না। এরপর কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক নিলুফার মাথায় ঘুষি মেরে বসে রাকিব। এসময় রাকিবের ভাই এসেও গালাগালি করে শিক্ষক নিলুফাকে।

উক্ত মারধরের শিকার স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিলুফা খানম বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে হয়তো স্কুল খোলা হতে পারে, সেজন্য আমরা স্কুলের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য তিন শিক্ষক মিলে স্কুলে যাই।

এসময় স্কুল অপরিষ্কার দেখে দপ্তরি রাকিবকে ফোন দিয়ে তাকে আসতে না দেখায়, লোক পাঠিয়ে তাকে আসতে বলি।

এরপর ২ জনের কথোপকথন হয় এমন, যে কোনো সময় শিক্ষা অফিসারেরা স্কুল পরিদর্শনে আসতে পারে। এসে এই অবস্থা দেখলে তোমারও চাকরি যাবে, আমাকেও শোকজ করবে। যা শুনে দপ্তরি বলে, “তর কথাতে কি আমার স্কুল খোলা লাগবো? এই লকডাউনে স্কুল খোলা হয় নাই তাইলে স্কুল পরিষ্কার করবো কেন।”

READ MORE  এতে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক চাপ কমবে এবং শিক্ষকরা রিফ্রেশমেন্ট এর সুযোগ পাবে

এঘটনায় শিক্ষক নিলুফা খানম আরও জানান, মূল বিষয় হচ্ছে সে নেশাগ্রস্ত। ঘুম থেকে তুলে আনায় আমার প্রতি সে চড়াও হয়েছে। কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, সে আমার মাথায় ঘুষিসহ মারধর করেছে সবার সামনে। এঘটনার সময় পাগলা থানার এসআই আব্বাস সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনিই আমাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

এবিষয়ে পাগলা থানার ওসি মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, এ ঘটনার পর স্থানীয় শিক্ষক সমিতির যারা আছেন তারা টিইও এবং এটিইও’র কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। তারা থানায় অভিযোগ দিলে তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

পরবর্তীতে এঘটনায় উক্ত শিক্ষকের পক্ষে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে এবং সেই দপ্তরি রাকিবকে পাগলা থানা পুলিশ আটক করেছে।

এঘটানায় দেশের শিক্ষকরা বিস্মিত হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছে। সাথে সাথে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

এছাড়া এঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মোঃ বদরুল আলম, সভাপতি, বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি।

ডিবি আর আর।

Leave a Comment