বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের নীতিমালা

ডিবি ডেস্ক :: দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন নিয়ে এতোদিন যেসকল জটিলতা ছিল, সেই জটিলতা দূর করার জন্য একটি বিশেষ নীতিমালা তৈরি করতে যাচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই নীতিমালার আলোকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা যাবে।

এবিষয়ে জানা গেছে, দেশে নব্য জাতীয়করণ কৃত ও পূর্ব থেকেই সরকারি মোট ৬৫ হাজারের মত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্য থেকে কিছু বিদ্যালয়ের নাম এমন যা উচ্চারণ করতে গেলে মানুষেরা সামনে লজ্জায় পড়তে হয়। সেই সকল বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের জন্য আলাদা নীতিমালা হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছুদিন আগে পত্র-পত্রিকাগুলো সরব হয় এবং নেটিজেনরা বিদ্যালয়গুলোর নাম পরিবর্তনের দাবি জানায়। এরপর সে সময়ের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন বিদ্যালয়গুলোর নাম পরিবর্তনের কথা বলেন। কিন্তু সেই সময়ে দাবি উঠা ১০টির মতো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করলে শিক্ষকরা বেতন নিয়ে বিপাকে পড়েন।

এছাড়া আইবাস সফটওয়্যারের মাধ্যমে শিক্ষকদের বেতন পরিশোধ করায় বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন হলে এ জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। একারণে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত একটি নীতিমালা তৈরির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) রতন চন্দ্র পন্ডিত বলেন, কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম উচ্চারণে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। সেজন্য নীতিমালার আলোকে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করার একটি উদ্যোগ মন্ত্রনালয় থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই নীতিমালার একটি খসড়া তৈরি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হবে। এরপর তা যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত করে তা কার্যকর করার পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

এধরণের কয়েকটি বিদ্যালয়ের নাম হল মানুষ মারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছাগল খাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাকফাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের, চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ইত্যাদি। এধরণের নাম দেশে বহু আছে তবে ১০টির মত বিদ্যালয়ের আপাতত আলোচনায় আছে।

READ MORE  দুটি সমস্যার সমাধান হলে যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে

ডিবি আর আর।

Leave a Comment