নিজস্ব প্রতিবেদক :: দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহে সংসদ সদস্যবৃন্দের কেউ সভাপতি থাকতে পারবেন না বলে ২০২০ সালে হাইকোর্ট এক রায় দেন। সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল হয়েছে।
এই আপিল জিতলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি পদে আবারও সংসদ সদস্যদের ফিরে আসার সম্ভাবনা দেখা দেবে।
এবিষয়ে তথা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংসদ সদস্যরা সভাপতি থাকতে পারবেন না বলে আদালতের দেওয়া রায় প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সংসদে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, যে কোন নাগরিকের ব্যাক্তিগত অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারেন না। তিনি আরও বলেন, এখানে আইনমন্ত্রী আছেন, এবিষয়ে উনার সাথে কথা হয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল হয়েছে এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের সাথে কথা হয়েছে। আপিলটি যখন আদালতে উঠবে তখন শিক্ষা মন্ত্রণালয় যথাযথ দায়িত্ব পালন করবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সভাপতি হওয়ার এই অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারে না।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুন, বুধবার জাতীয় সংসদে বাজেট বিষয়ক বক্তব্য প্রদানের সময় বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন ছাঁটাই প্রস্তাবের জবাব দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
এখানে আরও উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৬ জুলাই হাইকোর্টর এক রায়ে বলা হয়, ডিগ্রি কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি পদেও সংসদ সদস্যদের থাকা অবৈধ। সেই রায়ে আরও বলা হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংসদ সদস্যদের সভাপতি হিসেবে নিয়োগ বা মনোনয়ন সংবিধানের মূল উদ্দেশের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এছাড়া এর আগে অপর এক রায়ে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজেও সংসদ সদস্যদের সভাপতি হওয়া বন্ধ করা হয়। এরপর গত বছরের জুলাই মাসে হাইকোর্টর সেই রায় প্রকাশ হওয়ায় তা দ্রুত বাস্তবায়ন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুন ও শেয়ার করুন : চাকুরীজীবীদের এ মাসে ইনক্রিমেন্ট পেয়ে বেতন কত হল দেখে নিন
উপবৃত্তি প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের তালিকা ডাউনলোড করার পদ্ধতি
৩ মাস ক্লাস নিতে পারলে সমাপনী পরীক্ষা হবে
সুপার নিউমারারি’ পদোন্নতি চান প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা : সুপার নিউমারারি কী?
-ডিবি আর আর।