ডিবি নিজস্ব প্রতিবেদক :: দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতি একজন শিক্ষককে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শারীরিক সুস্থতা রক্ষায় দেশের প্রতিটি বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে শারীরিক শিক্ষক হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
জানাগেছে, এই কার্যক্রম বাস্তবায়নে অপেক্ষাকৃত তরুণ শিক্ষক মনোনীত করে তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এছাড়া নিয়মিত শ্রেণি পাঠদানের পাশাপাশি সেই শিক্ষক শারীরিক শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জাইকার সহযোগিতায় প্রতিটি বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সেই শিক্ষক শ্রেণি পাঠদানের পাশাপাশি শারীরিক শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এই উদ্যোগটি প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শারীরিক সুস্থতা ঠিক রাখার জন্য নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের শারীরিক সুস্থতার ওপরে মানসিক সুস্থতা অনেকটাই নির্ভর করে। সেজন্য গুরুত্বসহকারে এই উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে আরও জানা যায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষককে শারীরিক শিক্ষক হিসেবে প্রস্তুত করতে চলতি বছরের ২৯ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে জাইকা আয়োজিত ‘ই্যসু ফোকাসড ট্রেনিং কোর্স অন ফিজিক্যাল এডুকেশন কোর্স (ইয়াং লিডার্স)’ ট্রেনিংটি ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। সেজন্য প্রাথমিকে কর্মরত শারীরিক শিক্ষা বিষয়ক শিক্ষক মনোনয়ন করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের তথ্য আগামী ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে পাঠাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে জারিকৃত এক নির্দেশনায় শিক্ষক মনোনয়নে সুনির্দিষ্ট কিছু শর্ত ও দেওয়া হয়েছে। যা গত ২ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার বিভাগীয় উপ-পরিচালকদেরকে অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষক মনোনয়ন করতে বলা হয়েছে।
সেই নির্দেশনার শারীরিক শিক্ষক মনোনয়নের শর্ত সমুহ হলঃ
#মনোনীত শিক্ষকের বয়স অবশ্যই ৪৫ বছর বা তার নিচে হতে হবে।
#মনোনীত শিক্ষকের সার্টিফিকেট ইন এডুকেশন (সিইনএড) অথবা ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) প্রশিক্ষণ থাকতে হবে।
#নাম প্রত্যাহারের সম্ভাবনা আছে এমন শিক্ষককে মনোনয়ন করা যাবে না।
#এছাড়া মনোনীত শিক্ষকের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শারীরিক শিক্ষা বিষয়ক শিক্ষকতার ন্যূনতম ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
#সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিষয়ভিত্তিক শারীরক শিক্ষা প্রশিক্ষণ থাকতে হবে।
#শিক্ষককে ইন্টারনেট ব্যবহারে দক্ষ হতে হবে।
#উক্ত শিক্ষককে নিজস্ব কম্পিউটার, ল্যাপটব অথবা ট্যাব থাকতে হবে।
#শিক্ষকের নিজ ব্যবস্থাপনায় ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে।
শর্ত পূরণ বিষয়ে অধিদফতর সূত্রে আরও জানা যায়, উপরোক্ত শর্ত অনুযায়ী শিক্ষক মনোনয়ন দিতে হবে। এই শর্তপূরণ করার ক্ষেত্রে কিছু ঘাটতি দেখা দিলে অপেক্ষকৃত অভিজ্ঞ শিক্ষককে মনোনয়ন দিতে হবে। হ্যা, তবে নির্ধারিত শিক্ষকের বয়স অনূর্ধ্ব ৪৫ বছর এবং ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কে অভিজ্ঞ প্রার্থীকে বাছাই করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার বিভাগীয় উপ-পরিচালকদেরকে অধিদফতরের নির্দেশনা থেকে আরও জানা যায়, জাইকা’র চাহিদা মোতাবেক পাঠানো নির্বাচিত শিক্ষকের সকল তথ্য ফরম ও আনুসঙ্গিক ডকুমেন্টসের ফটোকপি ইমেইলে [email protected] আগামী ৮ সেপেটম্বরের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে পাঠাতে উপরিচালকদের নির্দেশ দিয়েছেন। এবং শিক্ষকদের সকল তথ্য তিন সেট হার্ড কপি সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় উপরিচালককে পাঠাতে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। -ডিবি আর আর।