সীমাহীন দুর্ভোগের পর প্রবাসীদের মুখে তৃপ্তির হাসি

দীর্ঘদিন মানবেতর জীবনযাপনের পর সুখের দেখা পেয়েছেন গ্রিসে বসবাসরত অবৈধ বাংলাদেশিরা। গ্রিক পুলিশের অভিযান শুরুর পর থেকে অনেকটা গৃহবন্দি অবস্থায় ছিলেন তারা। এথেন্সে প্রতিদিনই চলছিল অনিয়মিতদের ধরপাকড়। এর মধ্যে বাংলাদেশিদেরই বেশি টার্গেট করা হচ্ছিল।

এসব অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতেও তোড়জোর শুরু করে গ্রিক সরকার। কয়েক দফায় প্রায় অর্ধশতাধিক বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানোর পর আতঙ্ক বাড়ে। এমনকি বাংলাদেশিদের বাসায় চুরি, রাস্তায় প্রকাশ্যে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও কোন বিচার পাচ্ছিলেন না। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় থানায় যাওয়া কিংবা অভিযোগ করার সাহস পাননি অবৈধ বাংলাদেশিরা।

অবশেষে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রচেষ্টায় গ্রিস ও বাংলাদেশের সমঝোতা চুক্তি বাস্তবায়নের পর এখন অনেকটা সুখেই আছেন বাংলাদেশিরা। কেউ কেউ আবার দেশে এসেও ঘুরে যাচ্ছেন। পাশাপাশি রেমিট্যান্সও বেড়েছে কয়েক গুন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ সফর করেন গ্রিক অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী নোতিস মিতারাচি। এসময় তার মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

চুক্তি অনুযায়ী- ইউরোপের দেশ গ্রিসে প্রতি বছরে ৪ হাজার করে বাংলাদেশি কর্মীকে মৌসুমী কাজের ভিসা দেয়া হবে এবং গ্রিসে বসবাসরত ১৫ হাজার অনিয়মিত বাংলাদেশিকে ৫ বছরের জন্য অস্থায়ী বৈধতার আওতায় আনা হবে। দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই বৈধতা দেয়ার কার্যক্রম শুরু করে গ্রিক সরকার। এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৮৩৩ জন প্রথম ধাপে দূতাবাসে নিবন্ধন করেছেন। এদের অনেকেই দ্বিতীয় ধাপে আবেদন করে বৈধতার আওতায় এসেছেন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই বৈধতার কার্যক্রম চলবে।

READ MORE  প্রবাসে বেড়েছে সড়ক দু*র্ঘটনা, ৭ দিনে দুই বাংলাদেশির মৃ*ত্যু