দৈনিক বিদ্যালয় ডেস্ক :: জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দেশের শিক্ষকরা সরকারের অর্থ বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকলেই ১৩ তম গ্রেড পাচ্ছেন। সুখের কথা হল গত ১৯ জানুয়ারি তারিখে ১৩ তম গ্রেড সকল সহকারী শিক্ষকবৃন্দ পাবে এই মর্মে অর্থ মন্ত্রণালয় এক পরিপত্র জারি করে।
এরপর সকলের জন্য ১৩ তম গ্রেড নিশ্চিত করে ৩১ জানুয়ারি তারিখে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় কর্তৃক পৃষ্ঠাঙ্কন হয়েছে।
এখন কথা হল। আগামী মাস থেকেই কী ১৩ তম গ্রেডে বেতন পেতে চলছে শিক্ষকরা? না। এখানে বেশ কিছু সিস্টেম অতিক্রম করেই তারপর দেখা পাওয়া যাবে শিক্ষকদের কাংখিত ১৩ তম সেই গ্রেডের মুখ।
এক্ষেত্রে অর্থ বিভাগ কর্তৃক গত ১৯ জানুয়ারি তারিখে নতুন জারীকৃত আদেশ প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে জিও জারি হয়ে তারপর তা প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়।
এরপর এটি ৩১ জানুয়ারি তারিখে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় কর্তৃক পৃষ্ঠাঙ্কন হয়েছে।
এরপর এই পৃষ্ঠাঙ্কন সিজিএ (হিসাব মহানিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার অফিস) এ পাঠান হবে।
এরপর সিজিএ থেকে অনুমোদন হয়ে আইবাস++ এ এন্ট্রির জন্য পত্রাদেশ পাঠানো হবে।
এরপর জাতীয় প্রকল্প পরিচালক (PD) কর্তৃক ফাইল অনুমোদন হবে।
এরপর আইবাস++ সিস্টেম আপডেট করার পর লাইভে দিলে১৩তম গ্রেডে স্ব-স্ব উপজেলায় ফিক্সেশন হবে।
সর্বশেষ এই ফিক্সেশন হওয়ার পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ১৩তম গ্রেডের বেতন পাবেন।
এখন কথা হল, প্রতিটি পদক্ষেপে যদি কমপক্ষে ১০ দিন করে সময় লাগে তবে এখনো এটির জন্য আনুমানিক ২ মাস ১৫ দিন সময় লাগবে।
হ্যা তবে, কর্তৃপক্ষের ফাস্ট ওয়ার্ক-ই পারে এই কাজকে প্রাথমিক শিক্ষকদের বহুদিনের দাবি পূরণে আরো দ্রুত সময়ের মধ্যে এটি সম্পন্ন করতে।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য, দেশের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের জন্য ১৩ তম গ্রেড সরকারের ঘোষণার ১১ মাস পার হলেও এখনও বাস্তবায়ন করা হয়নি। যা দ্রুত না হওয়ায় শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে বলে জানা যায়।
-ডিবি আর আর।