ডিবি ডেস্ক নিউজ :: দীর্ঘ একযুগ পর সারাদেশে ‘এক রেটে’ ইন্টারনেট সেবামূল্য (ট্যারিফ) নির্ধারিত হতে যাচ্ছে। যারফলে এখন থেকে কম দামে ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাবে। একরেটে ও কমদামে এই নতুন ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাবে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে।
১২ আগস্ট, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইন্টারনেটের নতুন এই ট্যারিফ জুম সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘোষণা করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে বা আইআইজি ও ভূগর্ভস্থ ক্যাবল সেবা এনটিটিএন চালু হওয়ার ফলে দীর্ঘ একযুগ পর এ সেবামূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
এবিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী জানান, নতুন এই যে সেবামূল্য বেঁধে দেয়া হলো, তা শুধুমাত্র ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার জন্য।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, নতুন এই মূল্য নির্ধারণের ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশের আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। এছাড়া এই ঘোষণার ফলে সারাদেশে ‘এক দেশ এক রেট’ ইন্টারনেট বাস্তবায়ন আরও সহজ হলো। তিনি বলেন, গত ৬ জুন ‘এক দেশ এক রেট’ ইন্টারনেট সেবার কথা ঘোষণা দেয়ার পরে তা বাস্তবায়নে সমস্যা হচ্ছিল। এখন সে সমস্যা আর থাকবে না।
তিনি ভার্চুয়াল সম্মেলনে জানান, মোবাইল অপারেটরের বিরুদ্ধে কল ড্রপ, নেটওয়ার্ক সমস্যা নিয়ে অনেক অভিযোগ আছে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা বেশি হওয়ায় তারা আমার কাছে সরাসরি অভিযোগ করেন।
জুম সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বিটিআরসি আইআইজির জন্য বিভিন্ন ভলিউমে ১১টি স্ল্যাবে ব্যান্ডউইথের দাম ও এনটিটিএনগুলোর জন্য ট্রান্সমিশন ক্যাপাসিটির ভলিউম অনুযায়ী ১৫টি স্ল্যাবে সেবামূল্য বেঁধে দেয়া হয়।
এছাড়া বলা হচ্ছে যে, এটি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা প্রদানে আইআইজি এবং আইএসপিএদের জন্য বেসরকারি এনটিটিএন’র ব্যাকহল (ক্যাপাসিটিভিত্তিক) ট্যারিফ। আর আগেই আইএসপির দাম তিনটি স্ল্যাবে ৫ এমবিপিএস ৫০০ টাকা, ১০ এমবিপিএস ৮০০ এবং ২০ এমবিপিএস এক হাজার ২০০ টাকা বেঁধে দেয়া হয়। এর আগেও এই ৩টি প্রতিষ্ঠানের সেবামূল্য ছিল, যা কখনই সরকারিভাবে নির্ধারণকৃত ছিল না। যা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরা একটা দাম ঠিক করে তা গ্রাহকদের সামনে উপস্থাপন করত।
এ বিষয়ে আইআইজি ফোরামের মহাসচিব আহমদে জুনায়েদ জান্সন, নতুন এই ট্যারিফ ঠিক করে দেয়ার ফলে সারাদেশে এখন এক দামে ব্যান্ডউইথ বিক্রি হবে। ঢাকার বাইরে একেক আইএসপি একেক দামে ব্যান্ডউইথ কিনত। এখন থেকে এক রেটে কিনতে পারবে গ্রাহকরা। যে কারণে এর সুফলগ্রাহকের অনুকূলে যাবে।
ডিবি আর আর।